কুড়িগ্রামে তীব্র ঠাণ্ডায় আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাতে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু

হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:


কুড়িগ্রামে টানা শৈত্য প্রবাহে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। রোববার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ডাকুয়াপাড়াস্থ বাঘডোবার পাড় গ্রামে কনকনে ঠান্ডায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের সময় কাপড়ে আগুন লেগে ওসমান আলী (৭৫) নামের এক মুক্তিযোদ্ধা দগ্ধ হয়। পরে তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল তেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রোববার দুপুরে তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। এসময় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে সদর ইউএনও আমিন আল পারভেজের উপস্থিতিতে গার্ড অব অর্ণার দেয়া হয়। এছাড়া সাবেক এই সেনা সদস্যকে শেষ সম্মান জানান, রংপুর সেনাসিবাসের ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুর রফিকের নেতৃত্ব ১৭ সদস্যের চৌকশ সেনা দল। এসময় তার সম্মানে ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ পূত্র, ৩ কন্যাসহ বহু গুণগ্রাহি রেখে যান। তিনি ওই এলাকার মৃত: জহির আলীর পুত্র। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৩ হাজার টাকা তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়।
কুড়িগ্রাম সদরের সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল বাতেন জানান, প্রচন্ড শীতের কারণে তিনি গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে আগুন পোহাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে তার কাপড়ে আগুন লেগে যায়। এসময় তার শরীরের ৪৫ ভাগ অংশ পুড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে নেয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তরের জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় তাকে ঢাকা নেয়ার পথে এ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে এবার শীতের মাত্রা বেশি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষেরা। কাজে বের হতে না পারায় পরিবার পরিজনসহ দুর্বিসহ দিন কাটছে তাদের। কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল হাওয়ায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীত জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
দিনে রাতে সমান তাপমাত্রা বিরাজ করছে। কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জনপদ। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে খর-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চলছে সর্বত্রই। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিকরা কাজে যেতে না পারায় বিলম্বিত হচ্ছে চাষাবাদ।
সরকারীভাবে এখন পর্যন্ত ৬২ হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে। জেলা ত্রান শাখা সুত্রে জানা গেছে নতুন করে আরো ৫০ হাজার কম্বলের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নির্বাচিত 5420606615290590513

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item