কুড়িগ্রামে নরসুন্দরদের কাজের পর অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

আশিকুর রহমান,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ॥
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে গড়ে ওঠা সেলুন/জেন্স পার্লার নামে নরসুন্দরদের সেলুনে সাধারন মানুষদের সেভ বা চুলকাটার পর অতিরিক্ত টাকা নেয়ার প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ১৫০জনের উর্ধে মানুষজন লিখিত আকারে অভিযোগ জেলা প্রশাসক বরাবর সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছে। এছাড়াও নরসুন্দরদের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় শনিবার সকালে কুড়িগ্রাম থানা পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করেছে।লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নরসুন্দরা এখন দোকানে কয়েকটি গ্লাস টাঙ্গিয়ে সোপা চেয়ার বসিয়ে তাদের দোকানের নাম দিচ্ছে সেলুনের পাশাপাশি জেন্স পার্লার। আর সেভ বা চুল কাটার পর মুখে কিছু বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়া খোলা বাজারের নি¤œমানের কসমেটিক্স প্রসাধনী লাগিয়ে দিয়ে বিল হাকাচ্ছে ৫০০ টাকা। একটি সেভ করে বিল হাকাচ্ছে ২০০/৩০০টাকা।
 
পৌর এলাকার মোস্তফা, জব্বার, আবু তালেব বলেন, বাজে কোম্পানির কসমেটিক্স প্রসাধনী মুখে লাগানোর ফলে মানুষের এলার্জি সহ ত্বকজনিত রোগে ভুগছে। এগুলো প্রশাসনের নজরে আনা জরুরী। তাদের এসকল কার্যক্রমে অতিষ্ট হচ্ছে সাধারন মানুষজন। হয়রানি সহ তাদের চাহিদার টাকা না দিতে পারায় জনসম্মুখে হারাচ্ছে তাদের আত্মসম্মান। কুড়িগ্রাম শহরে দেখা কয়েকটি সেলুন/জেন্স পার্লার মালিক অল্পদিনে অনেক টাকার মালিক হয়ে গেছেন।  সচেতন মহল মনে করছেন, নরসুন্দরা যেভাবে অর্থ উপার্জন করছে তাতে তাদের মাসিক আয় হচ্ছে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা। তাহলে তাদের আয়করের আওতায় আনা জরুরী। সেলুন মালিক ও কর্মচারীরা কসাইয়ের পাশাপাশি যাত্রীবাহী যানের ড্রাইভার, হেলপারের আচরনও নিচ্ছে তারা। একটু অপরিচিত বা গ্রামের কোন গ্রাহক পেলে তাদের মফিজ মনে করে ক্ষনিকের জন্য তাদের নিঃস্ব করে ফেলছে। দুরগামী অনেক যাত্রী সেলুন হতে বের হওয়ার পর গন্তব্যে ফেরার মত টাকা থাকছেনা তাদের। এ নিরব দুর্ভোগের শেষ কি হবে? এমন প্রশ্ন ভুক্তভোগী ও সচেতন মানুষদের।
এ ব্যাপারে পৌরবাসীরা জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।


পুরোনো সংবাদ

কুড়িগ্রাম 4567480546028231954

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item