কিশোরগঞ্জে মুখ থুবড়ে পড়েছে সরকারী অর্থায়নে নির্মিত একমাত্র গরুর খামারটি

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ  সরকারী কর্মকর্তাদের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে  নৃ- তাত্তিক আদিবাসীদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে নির্মিত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার একমাত্র সরকারী  গরুর খামারটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের উন্নয়নমুলক কার্যক্রম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মেহেদী হাসানের কাছে এ সংক্লান্ত তথ্য চাইতে গেলে তিনি বলেন চাঁদখানা ইউনিয়নের চারমাথা এলাকায় একটি সরকারী গরু মোটা তাজাকরন প্রকল্প আছে শুনেছি কিন্তু এ ধরনের কোন তথ্য আমার জানা নেই।  সরেজমিন ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে চাঁদখানা ইউনিয়নে  নৃ –তাত্বিক আদিবাসী জনগোষ্ঠির ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য  ৯০ জন আদিবাসীকে সদস্য করে নৃ-তাত্তিক আদিবাসী সমবায়  সমিতি নাম দিয়ে   একটি গরু মোটাতাজা করণ প্রকল্প হাতে নেয়  তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম আজম। সে অনুযায়ী চাঁদখানা ইউনিয়নের চারমাথায় একটি ঘর নির্মান করে ২০ টি গরু ক্রয় করে সমিতির সদস্যদের মাঝে হস্তান্তর করে চলে আসেন। কিন্তু এক বছরের মাথায় গরুর খাওয়া ও রাখালের বেতন দিতে না পেরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সরকারীভাবে আদিবাসীদের ভাগ্যের উন্নয়ন কল্পে নেওয়া প্রকল্পটি ভেস্তে যেতে বসেছে।
চাঁদখানা নৃ-তাত্তিক আদিবাসী সমবায় সমিতির সভাপতি ও গরু মোটাতাজাকরন প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা রামকৃষœ রায় বলেন, সরকারীভাবে গরুকেনা ও ঘর নির্মাণে কত টাকা  বরাদ্দ্ ছিল আমরা কিছুই জানিনা। তবে প্রকল্পের জন্য যে ঘরটি নির্মাণ করা হয়েছিল তাতে লোহার এঙ্গেল দেওয়ার কথা শুনেছিলাম কিন্তু ঘরটি নি¤œমানের কাঠ দিয়ে নির্মাণ করে । এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসের দায়িত্বে থাকা লোকজন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ টি গরু কিনে দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা তাতো দেখতেই পাচ্ছেন।
চাঁদখানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, আমি যতটুকু শুনেছিলাম ওই প্রকল্পের জন্য সরকারী ভাবে ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল।


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3304717175599203379

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item