হরিপুর উপজেলায় ভোর ও সন্ধ্যার আকাশে কুয়াশা

জসিমউদ্দিন (ইতি) হরিপুর, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

সকালে ঘাসের ডগা আর বিক্ষরাজির পাতায় পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। ভোর ও সন্ধ্যায় আকাশে দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশা হরিপুরের উপজেলায়। দিনের বেলা গরম আর সন্ধ্যার শুরুতে ঝড়ছে কুয়াশার ফুলঝুরি। হেমন্তের দিন শেষ হতে না হতেই শীতের বুড়ি এসে যেন জবর দখল করি নিচ্ছে উপজেলার প্রাকৃতি। রাতেই হিমালয়ের হিমেলে হাওয়া আর ভোরের ঘন কুয়াশার হাতছানিই বলে দিচ্ছে শীত অনেকটা আমাদের সন্নীকটে। দিনের বেলা সুর্যের আলোর দেখা মিললেও দিনের দিন তাপমাত্র হ্রাস পাচ্ছে। এত দিন যারা হালকা বা পাতলা কাপড় গায়ে জোড়িয়ে বের হতেন তাদের মধ্যে অনেকেই এখন শীতের ভারি কাপড় পরিধান করতে শুরু করেছেন। উপজেলার প্রবীণব্যক্তিরা জানান, এ উপজেলাই শীতের আগমন আগেই ঘটে থাকে এ বছরও  তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কর্তিকের শুরুতেই উত্তর দিগন্তে হিমালয়ের বরফচূড়া থেকে ছড়িয়ে পড়ছে শীত বুড়ির হিমশীতশ নিশ্বাস। পূর্ব আকাশে কুয়াশ ডাকা মুখ আর অল্প সল্প মরা রোদের ঝলকানিই মনে করিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনকে বরণ করে নেয়ার সময় এসেছে। শীতকে সামনে রেখে অনেকেই যারা পুরোনো শীত বস্ত্র তুলে রেখেছেন সেগুলো বের করছেন কেউ কেউ আবার নতুন করে লেপ-তোষক তৈরি করছেন। লেপ-তোষকের করিগরদের ব্যস্ততাই প্রমাণ করিয়ে দিচ্ছে শীত আর বেশি দুরে নয়। শীতের এই মাস গুলো প্রত্তান্ত অঞ্চলের নি¤œ আয়ের এর মানুষের নিকট (কবির সেই কবিতার লাইনটির মতো কারো পোষ মাস বা কারো সর্বনাশ) অভিশাপ হয়ে দেখা দেয়। শীতে বিত্তবানদের শরীরের শীতের কাপড়ের সমরোহ থাকে। অপরদিকে নি¤œ আয়ের অনেকেরই ভাগ্যেই হয়তো একটি কাপড়ও জোটে না। তাই নি¤œবিত্ত শ্রেণির নারীরা আগেভাগেই সংসারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে পুরোনো শীতের কাঁথাগুলো নতুান করে ছেড়া শাড়ি-লঙ্গি দিয়ে জোড়াতালি লাগিয়ে ব্যবহারের উপযোগি করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শীতের আগমনে বিত্তবানরা ছুটছেন শহড়ে নামকরা বিপণী বিতান কাপড়ের মার্কেটগুলোতে।

পুরোনো সংবাদ

ঠাকুরগাঁও 8685859371988988511

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item