প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষার ফলাফলের পূর্বেই ঠাকুরগাওয়ে সরকারী স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষায় জনমনে অসন্তোষ

অব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি (পিএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পূর্বেই সরকারী বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ব্যপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোটা থাকলেও কোন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। 
 শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপসচির আবু সালেহ মো. সাজ্জাদ হোসেন কতৃর্ক ১৫ নভেম্বরে জারি করা  এক ভর্তি নীতিমালায় ফলাফলের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার কথা বলা নেই।নীতিমালায় বলা হয়েছে শিক্ষা বর্ষ শুরুর পূর্বে অথ্যাৎ ফলাফলের পরে যেকোন দিন হতে পারে। ফলাফলের পূর্বে কোথাও বলা নেই।

এ বছর ঠাকুরগাও সরকারী জিলা স্কুল ও সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে -দুই সিফটে  ৪৮টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে ৬শত ৭৯ জন শিক্ষাথী।যার মধ্যে ঠাকুরগাও সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রভাতী সিফটে ১শত ৬২ জন এবং দিবা শিফটে ২শত ২জন শিক্ষাথী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে।
অন্যদিকে ঠাকুরগাও সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রভাতি সিফটে ১শত ২৭ জন এবং দিবা সিফটে ১শত ৮৮ জন ছাত্রী অংশ গ্রহন করে।

আদরের ছেলে মেয়েদের সরকারী বালক কিংবা বালিকা বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করাবার প্রবল ইচ্ছা অনেক অভিবাবকের। অনেক অভিবাবক দিন রাত পরিশ্রম করছেন তার আদরের ছেলে কিংবা মেয়েটাকে ভর্তি যুদ্ধে টিকাবার জন্য।অনেকে দু'এক বছর ধরে কোচিংও করাচ্ছেন।পরীক্ষাও হচ্ছে ভর্তি যুদ্ধে জয়ী হয়ে অনেকে ভর্তিও হচ্ছেন।

 এবছর একটু ব্যতিক্রম বলে জানান অনেক অভিবাবক। তাদের প্রশ্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশ হওয়ার কথা আগামী ২৮ কিংবা ৩০ ডিসেম্বর।পন্চম শ্রেণীর ফলাফাংল প্রকাশের পূর্বেই কিভাবে  এবং কোন যুক্তিতে গত ২৪ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। এটি সচেতন মহলের প্রশ্ন?
পন্চম শ্রেণীরপড়ুয়া এক ছাত্রীর অভিবাবক হারুন অর রশিদ জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষাটি হচ্ছে পাবলিক পরীক্ষা। এই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল  প্রকাশের পূর্বেই কিভাবে ভর্তিরপরীক্ষা নেয় এটি বোধগম্য নয়।

অভিবাবক রাজন চন্দ্র জানান,পিএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পূর্বেই যদি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে তাহলে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের আগেই এইচ এসসি ভর্তি কিংবা এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফলের পূর্বেই মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।এ কেমন শিক্ষা নীতি?

অভিবাবক সফিকুল ইসলাম জানান,ফলাফল বের হওয়ার এক দিন পরে হলেও পরে পরীক্ষা নেওয়া উচিত।কারণ ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত হওয়ার পর যদি করো কোন বিষয়ে ফেল থাকে।তাহলে অপেক্ষামান তালিকা থেকে পুরণ করা হবে।কিন্তু পাবলিক পরীক্ষায় চ্যালেন্জ করার সুযোগ রয়েছে।চ্যালেন্জে পাশ করলে তার ভবিষত কি? কাজেই ফলাফলের পরেই ভর্তি পরীক্ষা হওয়া উচিত।

এ বছর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোটা থাকলেও নিবন্ধিত কিন্ডারগার্টেন গুলোর কোন কোটা বা ভর্তি ফরম দেওয়া হয়নি। 

ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক রমজান আলী জানান,এবছর ভর্তি পরীক্ষায় জেলার কিন্ডারগার্টেন গুলোকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।এতে মেধা যাচাইয়ে বৈষম্য দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে ফলাফল বের হওয়ার পুর্বেই খোদ সরকারী স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা এটি উচিত হয়নি বলে আমি মনে করি।

ঠাকুরগাও জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান সাবু বলেন,সরকারী বালক উচ্চ দুই সিফটের ২৪ আসনের বিপরীতে ৩শ৬৪জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা পূর্বের নিয়মে নেওয়া হয়েছে।ফলাফলের পূর্বে ভর্তি নেওয়া ঠিক হয়েছে কিনা এ ব্যপারে মন্ত্রনালয়ে কিংবা জেলা প্রশাসকের সংগে কথা বলতে হবে।

মাধ্যমিক শিক্ষাবিদ ড.টিএম মাহবুবর রহমান বলেন,কোন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পূর্বে কোন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা সমিচিন নয়।

এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল স্বীকার করে বলেন সংবাদটির যৌক্তিকতা আছে। তবে ফলাফলের পূর্বে ভর্তি পরীক্ষার ব্যপারে আমার নিজস্ব কোন মতামত নেই।এটি মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন দুই দিন আলাদা আলাদা পরীক্ষা  আয়োজন করা সম্ভব নয়। তবে আমি শংকিত কোন বাচ্চা যদি ফেল করে এবং কিন্ডারগার্টেন এর কোন বাচ্চা যদি নির্বাচিত হয় তাহলে তো তাকে আমরা ভর্তি করতে পারব না।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 5437948287520326885

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item