পাঁয়ে হেঁটে তিস্তা নদী পার
https://www.obolokon24.com/2017/12/teesta.html
ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)
এক সময়ের প্রমত্তা তিস্তা নদীতে পানি নেই। যে তিস্তায় এক সময় ছিল উত্তাল ঢেউ। সেখানে এখন ধু ধু বালু চর। নাব্যতা হারিয়ে তিস্তা নদী এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। মানুষ পাঁয়ে হেঁটেই তিস্তা নদী পারি দিচ্ছে। তিস্তার বুক চিরে জেগে ওঠা বালুচরেই কৃষকরা ফলাচ্ছেন নানা রকম ফসল। ফলে তিস্তা নদী এখন কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে রুপ নিয়েছে। নদীতে পানি না থাকায় নদী বেষ্টিত প্রায় ২ হাজার জেলে ও নৌ শ্রমিক পরিবার অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যাদের জীবন নদীর উত্তাল ঢেউয়ে দোল খেত, তারা আজ বেকার। কেউ কেউ পেশা বদল করে অন্য পেশায় গেলেও বাকিরা এখনও চেয়ে আছেন তিস্তার দিকে। কখন তিস্তা নদীতে পানি আসে, আর কখন নৌকা বেয়ে মাছ ধরবে।
সরেজমিনে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে পানি নেই। মাঝ খানে হাঁটু পানি। অল্প পানিতে নৌকাও চলছে না। এছাড়াও তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা গুলো শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিনত হয়েছে। মানুষ পাঁয়ে হেঁটেই পার হচ্ছে। নদী বুকে জেগে ওঠা বালুচরে শাক-সবজিসহ সোনালী ফসলে ভরা। এ যেন এক সবুজের সমারোহ। কৃষকরা নানা রকম ফসল ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসময় কথা হয় রহমতের চর এলাকার কৃষক আয়নাল হক এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আগে নদীতে পানি থাকা অবস্থায় নৌকা চালিয়ে ও মাছ ধরে সংসার চালাতাম। এখন নদীতে পানি নেই, মাছও নেই। তাই জেগে ওঠা বালু চরে বাদাম, রসুন, পিয়াজ, শাক-সবজিসহ নানা রকম ফসল আবাদ করছি। বর্তমানে তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষের চলছে চরম দুর্দিন। অপর আরেক নৌ শ্রমিক মজিবর রহমান জানান, নদী মরে গেছে। ফলে বাঁচার তাগিদে বাপ-দাদার পেশা বদল করে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়ছি। অনেক জেলে ও নৌ শ্রমিক আবার তিস্তা দিকে চেয়ে অলস সময় পার করছেন। বর্তমানে তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির চাকা ঘুরপাক খাচ্ছে। পানি না থাকায় কৃষকরাও পড়েছেন মহাবিপদে। তারা সময় মত কৃষি জমিতে পানি দিতে পারছেন না। অনেকে আবার শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিলেও বালুচরে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। এতে করে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তিস্তা নদী বেষ্টিত এ অঞ্চলের মানুষ এখনও চেয়ে আছে পানির অপেক্ষায়। তাদের এ আশা কি সহজেই পূরণ হবে?
এক সময়ের প্রমত্তা তিস্তা নদীতে পানি নেই। যে তিস্তায় এক সময় ছিল উত্তাল ঢেউ। সেখানে এখন ধু ধু বালু চর। নাব্যতা হারিয়ে তিস্তা নদী এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। মানুষ পাঁয়ে হেঁটেই তিস্তা নদী পারি দিচ্ছে। তিস্তার বুক চিরে জেগে ওঠা বালুচরেই কৃষকরা ফলাচ্ছেন নানা রকম ফসল। ফলে তিস্তা নদী এখন কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে রুপ নিয়েছে। নদীতে পানি না থাকায় নদী বেষ্টিত প্রায় ২ হাজার জেলে ও নৌ শ্রমিক পরিবার অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যাদের জীবন নদীর উত্তাল ঢেউয়ে দোল খেত, তারা আজ বেকার। কেউ কেউ পেশা বদল করে অন্য পেশায় গেলেও বাকিরা এখনও চেয়ে আছেন তিস্তার দিকে। কখন তিস্তা নদীতে পানি আসে, আর কখন নৌকা বেয়ে মাছ ধরবে।
সরেজমিনে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে পানি নেই। মাঝ খানে হাঁটু পানি। অল্প পানিতে নৌকাও চলছে না। এছাড়াও তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা গুলো শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিনত হয়েছে। মানুষ পাঁয়ে হেঁটেই পার হচ্ছে। নদী বুকে জেগে ওঠা বালুচরে শাক-সবজিসহ সোনালী ফসলে ভরা। এ যেন এক সবুজের সমারোহ। কৃষকরা নানা রকম ফসল ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসময় কথা হয় রহমতের চর এলাকার কৃষক আয়নাল হক এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আগে নদীতে পানি থাকা অবস্থায় নৌকা চালিয়ে ও মাছ ধরে সংসার চালাতাম। এখন নদীতে পানি নেই, মাছও নেই। তাই জেগে ওঠা বালু চরে বাদাম, রসুন, পিয়াজ, শাক-সবজিসহ নানা রকম ফসল আবাদ করছি। বর্তমানে তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষের চলছে চরম দুর্দিন। অপর আরেক নৌ শ্রমিক মজিবর রহমান জানান, নদী মরে গেছে। ফলে বাঁচার তাগিদে বাপ-দাদার পেশা বদল করে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়ছি। অনেক জেলে ও নৌ শ্রমিক আবার তিস্তা দিকে চেয়ে অলস সময় পার করছেন। বর্তমানে তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির চাকা ঘুরপাক খাচ্ছে। পানি না থাকায় কৃষকরাও পড়েছেন মহাবিপদে। তারা সময় মত কৃষি জমিতে পানি দিতে পারছেন না। অনেকে আবার শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিলেও বালুচরে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। এতে করে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তিস্তা নদী বেষ্টিত এ অঞ্চলের মানুষ এখনও চেয়ে আছে পানির অপেক্ষায়। তাদের এ আশা কি সহজেই পূরণ হবে?