পীরগঞ্জে হতদরিদ্র তহবিল হস্তান্তর নিয়ে দু’ব্যাংকের রশি টানাটানির অবসান!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল,পীরগঞ্জ রংপুর থেকেঃ

পীরগঞ্জে হতদরিদ্র তহবিলের টাকা হস্তান্তর নিয়ে সোনালী ব্যাংক ও মধুমতি ব্যাংকের মধ্যে রশি টানাটানির অবসান হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদরের ওই দুটি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইউএনও’র কাছে মৌখিকভাবে  অভিযোগ করলে ইউএনও বিষয়টি সমঝোতা করে দেন। ফলে ৪ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংকেই থাকছে।উলে¬খিত দু’ব্যাংক ও একাধিক বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, হতদরিদ্রের জন্য কর্মসৃজন কর্মসুচী প্রকল্পের তহবিলের টাকা সোনালী ব্যাংক লিঃ এর পীরগঞ্জের ৩টি শাখা থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে। সোনালী ব্যাংক পীরগঞ্জ শাখার চলতি হিসাব নম্বর- ০০১০১৯৯২৬ এ ইউএনও এবং পিআইও’র যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হয়। চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের ওই কর্মসুচীর অধীনে পীরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নে কর্মসৃজন কর্মসুচীর আওতায় মোট ৪ হাজার ৭৯৫ জন শ্রমিক কাজ করছে বলে পিআইও’র অফিস সুত্রে জানা গেছে। ওই শ্রমিকদের মজুরীর প্রায় ৪ কোটি ৬ লাখ টাকার তহবিলের ‘এ্যাডভাইস’টি সোনালী ব্যাংকের পরিবর্তে পিআইও মধুমতি ব্যাংক পীরগঞ্জ শাখায় হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।ওই তহবিল হস্তান্তর নিয়ে পীরগঞ্জ সদরের সোনালী ব্যাংক ও মধুমতি ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের মাঝে রশিটানাটানি শুরু হয়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে দু’টি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দল বেঁধে পৃথক দু’সময়ে ইউএনও’র কাছে গিয়ে বিষয়টি অবগত করে। একপর্যায়ে ইউএনও ‘এ্যাডভাইস’টি সোনালী ব্যাংকেই দেয়ার জন্য পিআইও কে নির্দেশ দেন। তহবিলটি উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার দফতর থেকে পাশ হওয়ার পর ব্যাংকে যায় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মধুমতি ব্যাংক পীরগঞ্জ শাখার ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্যবসার জন্য আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গ্রাহক সংগ্রহ করছি। যে বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে, তাতে সোনালী ব্যাংক রাজি থাকলে আমাদের ব্যাংকে ইউএনও-পিআইও একাউন্ট খুলতো। সোনালী ব্যাংক লিঃ পীরগঞ্জ শাখার ম্যানেজার শামছুল আলম বলেন, আমরা সরকারী সকল লেনদেন করছি। হঠাৎ করে মধুমতি ব্যাংকের পীরগঞ্জ শাখার কর্তৃপক্ষ আমাদের হতদরিদ্র তহবিলের প্রায় ৪ কোটি ৬ লাখ টাকা তাদের ব্যাংকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া করেছিল। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবগত করলে তিনি আমাদেরকেই তা দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি আরও জানান, আমরা বছর শেষে ব্যাংকের লভ্যাংশ সরকারকে প্রদান করি। অপরদিকে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ব্যক্তি মালিকানায় ভাগাভাগি হয়ে থাকে। পিআইও মিজানুর রহমান বলেন, এটি কোন ব্যাপার না। এ্যাডভাইসটি এখন হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার দফতরে আছে এবং তা সোনালী ব্যাংকেই দেয়া হবে। এতে আমার কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। তবে মধুমতি ব্যাংককে সহায়তা করতে না পারায় মন খারাপ হয়েছে। ইউএনও কমল কুমার ঘোষ বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পর পিআইও কে সোনালী ব্যাংককেই তহবিল দেয়ার জন্য বলেছি।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2892403416165749793

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item