রসিক নির্বাচন-প্রতিপক্ষের হামলা আর আগুন দেয়ার ঘটনায় নগরীর ৫ ও ১৪নং ওয়ার্ডে সংঘর্ষের আশঙ্কা
https://www.obolokon24.com/2017/12/rangpur_23.html
মামুনুররশিদ মেরাজুল -
আর মাত্র চার দিন পরই রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ভোটগ্রহণের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে, ততোই নির্বাচনী উত্তাপের সঙ্গে বাড়ছে বিচ্ছিন্ন ঘটনাও। কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হামলার ঘটনায় বেড়েছে সংঘর্ষের আশক্সকা। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিরাজ করছে উত্তেজনা। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল।
শনিবার ভোরে নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড়বাড়ী ডারারপাড় এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী আবেদ আলী সরকারের নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এতে নির্বাচনী অফিসের প্যান্ডেলের কাপড়, আসবাবপত্র ও সাটানো পোষ্টার আগুনে পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় রংপুর কোতয়ালী থানার এসআই মামুন অর রশিদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কাউন্সিলর প্রার্থী আবেদ আলী সরকার জানান, শনিবার ভোর রাতে তার পুর্ব বড়বাড়ী ডারারপাড় এলাকার নির্বাচনী অফিসে কে বা কাহারা আগুন লাগিয়ে দেয়। তিনি ঘটনাটি তার সমর্থকদের মাধ্যমে জানার পরেই আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র রায়, পুলিশ সুপার ও কোতয়ালী থানার ওসিকে জানান।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি নির্বাচনে পরাজয়ের আশংকায় প্রতিপক্ষরা আগুন দিয়েছে। তবে তিনি কারো নাম উল্লেখ করেনি। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে আগুন দেয়ার এই ঘটনার আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের তালতলা খটখটিয়া এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুজ্জামান মাসুদ। অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বি কাউন্সিলর প্রার্থী মোকলেসুর রহমান তরু ও তার অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এখন পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছেন।
হামলার শিকার মাসুদ বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল সাবেক কাউন্সিলর তরু ও তার লোকজন। এতে মাসুদ ও তার পাঁচ সমর্থক আইনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, মাহমুদুল ইসলাম ও নুর এলাহীকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় ৬টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। শেষমেশ বৃহস্পতিবার রাতে তারা আমার ওপর হামলা করে। এরপর রাস্তায় ফেলে তারা রাম দা দিয়ে আমার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপায়।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোখলেসুর রহমান তরুর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র নগরীর দুই ওয়ার্ডে পর পর এই দু’টি ঘটনার সাধারণ ভোটাররা শঙ্কিত হলেও উত্তেজনা বিরাজ করেছে কর্মী-সমর্থকদের মাঝে। একারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রাখার পাশাপাশি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে নেয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা।
রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সব ধরণের ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর মাত্র চার দিন পরই রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ভোটগ্রহণের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে, ততোই নির্বাচনী উত্তাপের সঙ্গে বাড়ছে বিচ্ছিন্ন ঘটনাও। কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হামলার ঘটনায় বেড়েছে সংঘর্ষের আশক্সকা। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিরাজ করছে উত্তেজনা। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল।
শনিবার ভোরে নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড়বাড়ী ডারারপাড় এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী আবেদ আলী সরকারের নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এতে নির্বাচনী অফিসের প্যান্ডেলের কাপড়, আসবাবপত্র ও সাটানো পোষ্টার আগুনে পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় রংপুর কোতয়ালী থানার এসআই মামুন অর রশিদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কাউন্সিলর প্রার্থী আবেদ আলী সরকার জানান, শনিবার ভোর রাতে তার পুর্ব বড়বাড়ী ডারারপাড় এলাকার নির্বাচনী অফিসে কে বা কাহারা আগুন লাগিয়ে দেয়। তিনি ঘটনাটি তার সমর্থকদের মাধ্যমে জানার পরেই আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র রায়, পুলিশ সুপার ও কোতয়ালী থানার ওসিকে জানান।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি নির্বাচনে পরাজয়ের আশংকায় প্রতিপক্ষরা আগুন দিয়েছে। তবে তিনি কারো নাম উল্লেখ করেনি। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে আগুন দেয়ার এই ঘটনার আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের তালতলা খটখটিয়া এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুজ্জামান মাসুদ। অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বি কাউন্সিলর প্রার্থী মোকলেসুর রহমান তরু ও তার অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এখন পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছেন।
হামলার শিকার মাসুদ বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল সাবেক কাউন্সিলর তরু ও তার লোকজন। এতে মাসুদ ও তার পাঁচ সমর্থক আইনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, মাহমুদুল ইসলাম ও নুর এলাহীকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় ৬টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। শেষমেশ বৃহস্পতিবার রাতে তারা আমার ওপর হামলা করে। এরপর রাস্তায় ফেলে তারা রাম দা দিয়ে আমার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপায়।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোখলেসুর রহমান তরুর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র নগরীর দুই ওয়ার্ডে পর পর এই দু’টি ঘটনার সাধারণ ভোটাররা শঙ্কিত হলেও উত্তেজনা বিরাজ করেছে কর্মী-সমর্থকদের মাঝে। একারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রাখার পাশাপাশি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে নেয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা।
রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সব ধরণের ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।