রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে মঞ্জুরী নবায়নের পায়তারা

ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)ঃ

রংপুর জেলা ও পীরগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে এক স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কর্তৃক স্থানীয় একটি চক্রের মাধ্যমে প্রতিষ্টান মঞ্জুরী নবায়ন করার পায়তারা। ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে মঞ্জুরি নবায়নের নামে একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নে গত ১৯৮৪ সালে সোনারায় মহিরিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাটি প্রতিষ্টিত হয়। প্রতিষ্টার পর থেকে প্রতিষ্টানটি খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিল। বর্তমানে মাদ্রাসাটির জায়গা না থাকায় কোন অবকাঠামো নেই। প্রতিষ্টানটির অবকাঠামো ও কোন জমি না থাকলেও কিছু কাগজপত্র রয়েছে। প্রায় ১০ বছর থেকে কোন কার্যক্রম নেই বললেই চলে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম কৌশলে প্রতি বছর সরকারি বই উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রয় করে আসছেন। কার্যক্রম না থাকায় শিক্ষকগন অন্য পেশায় জীবন-যাপন করে আসছে। ফলে প্রতিষ্টানটির মঞ্জুরির মেয়াদ গত ৩১ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে শেষ হলে কেউ মঞ্জুরি আবেদন করেনি। ওই প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মঞ্জুরি নবায়নের জন্য গত ৮জানুয়ারি-২০১৭ তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট আবেদন করেন। জেলা শিক্ষা অফিসার প্রতিষ্টানটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ৯ জানুয়ারি-২০১৭ তারিখের ডিইও/রং/২০১৭/২৯৮৯ নং স্মারকে পীরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট চিঠি প্রদান করেন। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গত ৭ মার্চ-২০১৭ তারিখে প্রতিষ্টানটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন প্রেরন করে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২২ এপ্রিল-২০১৭ তারিখের ডিইও/রং/৩৭৬/১৭ স্মারকে মঞ্জুরি নবায়নের জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড এর নিকট সুপারিশ প্রদান করেন। পরে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গত ৫নভেম্বর-২০১৭ তারিখে সুপারিশ গ্রহণ করে প্রধান শিক্ষককে মঞ্জুরী নবায়ন রশিদ প্রদান করেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত মাদ্রাসাটির মঞ্জুরি নবায়নের কাগজপত্রাদি ভূয়া। উক্ত প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম স্থানীয় একটি চক্রের মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে মঞ্জুরী নবায়নের জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড-এ আবেদন করেন।
এব্যাপারে সোনারায় মহিরিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম এর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, মঞ্জুরি নবায়নের বিষয়টি আমার প্রতিষ্টানের এক সহকারি শিক্ষক ভালো জানেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষ অফিসার সৈয়দ সুজা মিয়া বলেন, আপনি জেলা শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিলে বিষয়টি ভাল বুঝতে পারবেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার রোকসানা বেগম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রতিষ্টান প্রধান যে স্মারক ও তারিখ ব্যবহার করেছে ওই স্মারক সঠিক নয় তারিখ ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6509578986641448774

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item