পীরগঞ্জে ইউপি মেম্বারের ২য় স্ত্রী ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী!
https://www.obolokon24.com/2017/12/rangpur_20.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল,পীরগঞ্জ রংপুর থেকেঃ
পীরগঞ্জে বাল্য বিয়ে কে লাল কার্ড দেখানো হচ্ছে না। ইউএনও-ওসি-চেয়ারম্যানকে বলেও ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রী বিয়ে ঠেকানো গেল না। উপজেলার শানেরহাট ইউপির এক মেম্বার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ২য় বিয়ে করেছেন। উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতির অভিযোগ ইউএনও-ওসি-চেয়ারম্যানও এই বাল্য বিয়েতে জড়িত।
এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও একাধিক সুত্র জানিয়েছে, উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার পাহাড়পুর গ্রামের মধু মন্ডল ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী রিশা মনিকে ২য় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেছে। গত সোমবার রাতে (১৮ ডিসেম্বর) উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামে ওই বিয়ে হয়। শাহাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ওই ছাত্রী রফিকুল ইসলামের মেয়ে। উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (দুপ্রক) সভাপতি অধ্যাপক (অবঃ) নুরুল আমিন রাজাসহ এলাকাবাসী বিয়েটি বন্ধের জন্য ইউএনও, ওসি এবং শানেরহাট ইউপি’র চেয়ারম্যানকে রোববার রাত ১০ টা পর্যন্ত একাধিকবার মোবাইলে ফোনে অবগত করেন। তারপরও বিয়েটা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুপ্রক সভাপতি নুরুল আমিন রাজা অভিযোগ করে বলেন, আমি বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। আমার বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর বিয়ে বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করলেও তারা শুধু দেখছি, দেখছি বলে সময় ক্ষেপন করেছে। তারপরও ইউএনও রাতে আমাকে নিশ্চিত করে যে, বিয়েটা হবে না। কিন্তু বিয়েটা হয়েছে। অথচ সরকার বাল্য বিয়েকে লাল কার্ড প্রদর্শন করে স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় ব্যাপক প্রচার করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী জানায়, আমরা বিয়েটা বন্ধের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তারা আরও জানায়, মধু মেম্বার এর আগে ১ বিয়ে করেছেন। ঘরে স্ত্রীও রয়েছে। ২০ বছরের সংসার জীবনে ওই দম্পতির ঘরে কোন সন্তান না হওয়ায় তিনি ২য় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শানেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মন্টু বলেন, আমি বিয়ে বন্ধের জন্য বলেছি। কিন্তু পরে কি হয়েছে জানিনা। ইউএনও কমল কুমার ঘোষ বলেন, বাল্য বিয়েটা হবে না বলে শানেরহাট ইউপির চেয়ারম্যান আমাকে নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু পরদিন (সোমবার) রাতে বিয়ে হয়েছে। আমি কি করবো।