পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বেহাল দষা এ যেন রেফার্ড হাসপাতাল

মো: তোতা মিয়া, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড় জেলার ১৫ লক্ষ মানুষের একমাত্র চিকিৎসা সেবার ভরসারস্তল পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল। আর এই হাসপাতালেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে লেখা রয়েছে রোগীদের বিছানায় বসা নিষেধ। কিন্তু রাত ১১.০০ টার দিকে ওয়ার্ডে দেখা যায় রেলওয়ে প্লাট ফরর্মে যেভাবে মানুষ শুয়ে থাকে এবং হাটি হাটি করে ঠিক সেরকমই অবস্থা হাসপাতাল ওয়ার্ডে। আর এই হাসপাতালেই ডাক্তারের চেয়ে সেবিকা (নার্স) বড়। গত কয়েকদিন আগে মটর সাইকেল দূর্ঘনায় আহত হন এপ্রিল নামে এক যুবক। হাসপাতালে বাইরে ডাক্তারের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন। হঠাৎ গত ২৩ নভেম্বর মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হলে হাসপাতালে পুরুষ সার্জারি ৩নং ওয়ার্ডের বিছানায় ভর্তি হন। চিকিৎসক নিয়মিত রোগী পরিদর্শন করাকালে গত ২৪ শে নভেম্বর সকালে রুগিটিকে কিছু ঔষধ পত্র দেন। এরপর দুপুরে মাথা ব্যাথা প্রচন্ড ভাবে বেড়ে গেলে বার বার নার্সদের সাহায্য চেয়েও কোন লাভ হয়নি। উপায়ন্তর না পেয়ে ডাক্তার খোঁজা শুরু হয়। রোগীর পরিবার সিদ্ধান্ত নেন প্রচন্ড মাথা ব্যাথা কোন ভাবে নিয়ন্ত্রনে এলেই রোগীটিকে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই কারণে হাসপাতালে কোন ডাক্তার না পেয়ে সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করেন। সিভিল সার্জন চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তার প্রেরনের কথা বললেও হাসপাতালের একজন কর্মচারী রেফার্ডের কাগজ হাতে নিয়ে হাজির। তিনি বলেন সিভিল সার্জন আপনাদের রোগীকে রেফার্ড করতে বলেছেন। মাথা ব্যাথার চিকিৎসা না দিয়ে রেফার্ডের বিষয়ে সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন নিজেই এসে রোগীকে চিকিৎসা দেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মো: সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কমিউনিকেশনের গ্যাপ। রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যাবেন। সেই কারণে এমনটি হয়েছে। এরপর আমি নিজেই দু’বার রোগীকে দেখে এসেছি এবং চিকিৎসা দিয়েছি। হাসাপাতালের সাধারন রোগীরা আশানুরুপ চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
হাসাপাতালে নার্সদের কাছ থেকে রোগীরা কাঙ্খিত সেবা পান না। শিক্ষানবিশ নার্সদের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে কর্মরত ডাঃ এবং সেবিকা নিশ্চিন্তে থাকেন। আর এদিকে শিক্ষানবিশ নার্সরা থাকেন স্মার্ট ফোন ও ফেজবুক নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে নার্সদের প্রশাসনিক ক্ষমতা আশানুরুপ ডাক্তারদের হাতে না থাকায় সেবিকারা ডাক্তারদের কথা ততটা আমলে নেন না। সম্প্রতি সময় সেবিকাদের ২য় শ্রেনির পদমর্যদা দেওয়ায় আরো বেশি বেপরোয়া হয়েছে সেবিকারা।
এদিকে রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সেবিকারা স্থানীয় এবং কেউ কেউ দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে আছেন। সে কারণে তাদের ব্যাপারে কোন অভিযোগ করে লাভ হয় না। উপরন্ত অনেকেই অভিযোগকারীকেই হেস্থ-নেস্থ করা হয়।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 5726473104425725306

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item