প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের এক দফা দাবিতে নীলফামারীতে সংবাদ সম্মেলন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৫ ডিসেম্বর॥
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের পরের গ্রেডে বেতন-স্কেল নির্ধারণের এক দফা দাবিতে সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীতেও সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট জেলা শাখার আয়োজনে আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় পৌর মার্কেটস্থ্য প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট জেলা শাখার আহবায়ক আসাদুজ্জামান বাবু। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে এ দাবী সরকার মেনে না নিলে কেন্দ্রীয় ভাবে ২৩ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন শুরু করবে সহকারি শিক্ষক সংগঠনসমূহের জোট বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক নেতারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদান করা হলে সহকারী শিক্ষকদের সাথে তাদের বেতন স্কেলের ব্যবধান হবে ৪ ধাপ। প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদান আমরাও চাই। কিন্তু তার আগে সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য দাবী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল প্রদানের বিষয়টি সমাধান করতে হবে। তা না হলে প্রধান শিক্ষকদের সাথে সহকারী শিক্ষকদের চরম বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকের বেতনস্কেল একই ছিল, তারপর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপে ছিল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন। ২০০৬ সালের পর থেকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেলের ব্যবধান বাড়তে থাকে এবং ১ ধাপ থেকে হয়ে যায় ২ ধাপ। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ঘোষণা অনুযায়ী ব্যবধান দাঁড়ায় ৩ ধাপে। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেও প্রাধান শিক্ষক থেকে ৩ ধাপ নিচে বেতন পাচ্ছেন সহকারি শিক্ষকরা। এই বৈষম্যের নিরসন হওয়া জরুরী। এটাই আমাদের দাবি।
১৬ বছর চাকরির পর একজন প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারী শিক্ষকের বেতনে ব্যাবধান হবে ভাতাসহ প্রায় বিশ হাজার টাকা। বর্তমানে এক জন প্রধান শিক্ষক যে স্কেলে চাকরি শুরু করেন একজন সহকারী শিক্ষক সেই স্কেলে চাকরি শেষ করেন, যা সহকারী শিক্ষকদের জন্য চরম বৈষম্য ও হতাশার।
একজন প্রাথমিক শিক্ষক যে পদে যোগদান করেন ঐ পদ থেকেই সাধারণত তাকে অবসর নিতে হয়। মাত্র ১৫ ভাগ সহকারী শিক্ষক চাকরি জীবনে একবার পদোন্নতি পান।

সেটাও আবার স্ব-বেতনে। এই কারণে মেধাবীরা এই পেশায় আসতে চায় না এবং আসলেও থাকতে চায় না। এটা এখন মেধাবীদের একটা ট্রানজিট পেশায় পরিণত হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে প্রমোশন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে বন্ধ রয়েছে। যা সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ২০১৫ সালের বেতনস্কেলের মাধ্যমে শ্রেণি প্রথা বিলুপ্ত করা হলেও বাস্তবে তা এখনো বাতিল হয়নি। শিক্ষক নেতারা বলেন, এ সব বৈষম্যের অবসানের লক্ষ্যেই কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট জেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক ও সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান, আশরাফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল হক বাবু, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক মাহেদুল হক বসুনিয়া প্রমুখ।




পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6767131614144574035

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item