লালমনিরহাট জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টরের কান্ড!

বিশেষ প্রতিনিধি ৭ ডিসেম্বর॥
নিজের স্ত্রী ও কলেজ পড়–য়া সন্তানদের পরিচয় গোপন করে এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করতে এসে গণধলাই খেয়েছে স্যানেটারী ইন্সপেক্টর হামিদার রহমান (৫৩)। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর তিতপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। উক্ত হামিদার রহমান লালমনিরহাটের জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর হিসাবে কর্মরত। আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি করে।
এলাকাবাসী জানায়, উক্ত হামিদার ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ী গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। কিন্তু সে এলাকায় থাকে না। নীলফামারী শহরের জেলখানা সড়কে বাড়ি বানিয়ে সেখানে বসবাস করে। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর তিতপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যাক্তির মেয়ে স্থানীয় ডিমলা ইসলামীয়া কলেজের বিএ ক্লাসের ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে উক্ত হামিদার। এমন কি ওই মেয়ের সঙ্গেএসে দেখাও করে হামিদার।
মেয়েটি জানায়, ঘটনার দিন সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর হামিদার রহমান তাদের বাড়িতে আসে এবং আজ রাতেই তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়। মেয়েটির বাবা হামিদার রহমানের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেয়ার বিষয়ে তার আত্মীয়-স্বজনদের খবর দিতে হবে। কিন্তু হামিদার জানায় তার কেউ নেই। এ নিয়ে তাদের সন্দেহ হয়। মেয়েটির বাবা তার এক পরিচিত লোককে খরব দিয়ে নিয়ে এলে ওই ব্যাক্তি হামিদারকে চিনতে পারে এবং তার পরিচয় ফাঁস করে দেয়। এ সময় গ্রামবাসী হামিদার রহমানকে গণধলাই দিয়ে আটক করে রাখে। পরের দিন মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ডিমলা উপজেলার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। 
এরপর গ্রামবাসী উক্ত হামিদারকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে পুলিশকে খবর দিলে ডিমলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় উক্ত হামিদার রহমানের পক্ষ নিয়ে বেশ কিছু প্রভাবশালী মেয়েটির বাড়ি গিয়ে পুলিশের সামনেই হামিদারকে ছিনিয়ে নিয়ে সঠকে পড়ে।
মেয়ের বাবা জানায়, প্রভাবশালীদের কারনে আমরা প্রতারক হামিদারের বিচার পেলাম না। প্রভাবশালীরা প্রতারক হামিদার রহমানের কাছে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে হামিদার রহমানের ছোট ভাই ডিমলা উপজেলা রামডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান সাংবাদিকদের জানায়, আমরা বিষয়টি মেয়ে পক্ষের সঙ্গে আপোষ মিমাংসা করে নিয়েছি।
ডিমলা থানার এসআই আব্দুর রহিম বলেন, হামিদার রহমানকে আটকের সংবাদ শুনে সেখানে গেলে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে আপোষ মিমাংসা করে থানায় কাগজপত্র জমা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলার স্যানিটারী  ইন্সেপেক্টর হামিদার রহমান সঙ্গে তার মোবাইলে (০১৭১৬-৩১৮-৪১৭) একাধিবার কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ কাশেম আলীর সঙ্গে মোবাইলে এ বিষয়ে কথা বলা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানতে পারিনি। তবে ৪ ও ৫ ডিসেম্বর  হামিদার রহমান দুই দিনের ছুটি নিয়েছিল। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।

পুরোনো সংবাদ

লালমনিরহাট 5183302100830631273

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item