কুড়িগ্রামে উপবৃত্তি না পেয়ে স্কুলগুলোতে কমতে শুরু করেছে শিক্ষার্থী
https://www.obolokon24.com/2017/12/kurigram_18.html
হাফিজুর ররহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেড় বছর ধরে
উপবৃত্তি পাচ্ছে না। ফলে প্রতিষ্ঠান দুটিতে কমতে শুরু করেছে শিক্ষার্থী
সংখ্যা। বিদ্যালয় দুটি হলো নাগেশ্বরী উপজেলার ইন্দ্রগড় ব্যাপারীটারী সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপবৃত্তি বরাদ্দ বাতিলে প্রধান শিক্ষক অভিযোগ তুলছেন জেলা মনিটরিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। মনিটরিং কর্মকর্তা বলছেন, নিয়ম অনুসারে মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধ হয়েছে বরাদ্দ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১৯৮৪ সালে স্থাপিত ইন্দ্রগড় ব্যাপারীটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩ সালে জাতীয়করণের আওতায় এলে নিয়মিত উপবৃত্তি পেত শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে এ বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেড় বছর থেকে উপবৃত্তি পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটির ২৫৪ শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ১৭ জন। প্রথম শ্রেণিতে ৪০, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫০, তৃতীয় শ্রেণিতে ৬৮, চতুর্থ শ্রেণিতে ৪৬ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৩ জনের মধ্যে এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৬ শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত। ফলে অনেকে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
কোনো কোনো অভিভাবক সন্তানদের উপবৃত্তি সুবিধা পেতে অন্য প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এ বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি বাতিলের জন্য সুপারিশ করায় বরাদ্দ বন্ধ হয়েছে। তারা বলেন, মনিটরিং কর্মকর্তা ঢাকার ইটভাটার ব্যবসায় জড়িত। এ এলাকার দরিদ্র মানুষকে শ্রমিক হিসেবে দাদনের মাধ্যমে ইটভাটায় পাঠাতেন। এর আগে পাঠানো শ্রমিকের টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই কর্মকর্তার দ্বন্দ্ব হয়। যার খেসারত দিতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান জানান, মনিটরিং কর্মকর্তা কিছু টাকা আমার অজান্তে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠান। সে টাকা দেওয়ার পর শ্রমিক পুনরায় না যাওয়ার কারণে ওই কর্মকর্তা আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে উপবৃত্তি বরাদ্দ বন্ধ করে দেন।
এ ছাড়া বন্ধ রয়েছে উপজেলার হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি বরাদ্দ। এখানকার শিক্ষার্থীরাও দেড় বছর থেকে উপবৃত্তি পাচ্ছে না।
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয় পরিদর্শন করে পরিদর্শন ফরমের ২৫ ক্যাটাগরি পূরণ করে পাঠানো হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে দুটি স্কুলের উপবৃত্তি বন্ধ করে মন্ত্রণালয়। এখানে আমার হাত নেই। তার মধ্যস্থতায় ইটভাটায় শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেড় লাখ টাকার ঝামেলা হয় বলে স্বীকার করেন তিনি। তবে উপবৃত্তি বন্ধের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো মিল নেই বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশলেম উদ্দিন শাহ জানান, উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা সরেজমিন শিক্ষার্থী উপস্থিত না পেলে বা নানা কারণে প্রতিবেদন দিলে বরাদ্দ বন্ধ হতে পারে।
নাগেশ্বরী উপজেলায় মোট ১৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে। এর মধ্যে দুটি বিদ্যালয়ের বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। সরকার নিয়মিত প্রাক-প্রাথমিকের জন্য প্রতি মাসে ৫০ টাকা হারে বছরে ৬০০ টাকা এবং প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত একশ' টাকা হারে বছরে এক হাজার ২০০ টাকা করে দিচ্ছে।
উপবৃত্তি বরাদ্দ বাতিলে প্রধান শিক্ষক অভিযোগ তুলছেন জেলা মনিটরিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। মনিটরিং কর্মকর্তা বলছেন, নিয়ম অনুসারে মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধ হয়েছে বরাদ্দ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১৯৮৪ সালে স্থাপিত ইন্দ্রগড় ব্যাপারীটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩ সালে জাতীয়করণের আওতায় এলে নিয়মিত উপবৃত্তি পেত শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে এ বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেড় বছর থেকে উপবৃত্তি পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটির ২৫৪ শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ১৭ জন। প্রথম শ্রেণিতে ৪০, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫০, তৃতীয় শ্রেণিতে ৬৮, চতুর্থ শ্রেণিতে ৪৬ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৩ জনের মধ্যে এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৬ শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত। ফলে অনেকে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
কোনো কোনো অভিভাবক সন্তানদের উপবৃত্তি সুবিধা পেতে অন্য প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এ বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি বাতিলের জন্য সুপারিশ করায় বরাদ্দ বন্ধ হয়েছে। তারা বলেন, মনিটরিং কর্মকর্তা ঢাকার ইটভাটার ব্যবসায় জড়িত। এ এলাকার দরিদ্র মানুষকে শ্রমিক হিসেবে দাদনের মাধ্যমে ইটভাটায় পাঠাতেন। এর আগে পাঠানো শ্রমিকের টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই কর্মকর্তার দ্বন্দ্ব হয়। যার খেসারত দিতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান জানান, মনিটরিং কর্মকর্তা কিছু টাকা আমার অজান্তে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠান। সে টাকা দেওয়ার পর শ্রমিক পুনরায় না যাওয়ার কারণে ওই কর্মকর্তা আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে উপবৃত্তি বরাদ্দ বন্ধ করে দেন।
এ ছাড়া বন্ধ রয়েছে উপজেলার হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি বরাদ্দ। এখানকার শিক্ষার্থীরাও দেড় বছর থেকে উপবৃত্তি পাচ্ছে না।
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয় পরিদর্শন করে পরিদর্শন ফরমের ২৫ ক্যাটাগরি পূরণ করে পাঠানো হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে দুটি স্কুলের উপবৃত্তি বন্ধ করে মন্ত্রণালয়। এখানে আমার হাত নেই। তার মধ্যস্থতায় ইটভাটায় শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেড় লাখ টাকার ঝামেলা হয় বলে স্বীকার করেন তিনি। তবে উপবৃত্তি বন্ধের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো মিল নেই বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশলেম উদ্দিন শাহ জানান, উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা সরেজমিন শিক্ষার্থী উপস্থিত না পেলে বা নানা কারণে প্রতিবেদন দিলে বরাদ্দ বন্ধ হতে পারে।
নাগেশ্বরী উপজেলায় মোট ১৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে। এর মধ্যে দুটি বিদ্যালয়ের বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। সরকার নিয়মিত প্রাক-প্রাথমিকের জন্য প্রতি মাসে ৫০ টাকা হারে বছরে ৬০০ টাকা এবং প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত একশ' টাকা হারে বছরে এক হাজার ২০০ টাকা করে দিচ্ছে।