কিশোরগঞ্জ কলেজে এইচএসসির ফরম পুরনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

শামীম হোসেন বাবু॥
কিশোরীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পুরনে বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে নির্ধারিত ফির চাইতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ওই কলেজের অধ্যক্ষের নির্দেশে রশিদ ছাড়াই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে আর্থিক অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। রবিবার ছিল ফর্ম ফিলামের শেষ দিন। তবে জরিমানা সহ ফর্ম ফিলাপের শেষ দিন রয়েছে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
শিক্ষার্থীরা জানায়, এইচ এসসি পরীক্ষার ফর্ম ফিলামের ফি নিদ্ধারিত করে দেয় দিনাজপুর বোর্ড। এতে দেখা যায় মানবিক বিভাগের জন্য  দুই হাজার ৫৫ টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুই হাজার ৪৩৫ টাকা। কিন্তু নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ  ডিগ্রি  কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষার্থীদের নিকট হতে মানবিকে তিন হাজার ৫৫ টাকা, বিজ্ঞানে দুই হাজার ৮৩৫ টাকা করে নেয়। এতে মানবিকে এক হাজার ১শত ও বিজ্ঞানে চারশত টাকা বেশী নেয়া হয়েছে । 
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ২৮০ জন। এরমধ্যে গতকাল শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ফর্ম ফিলাম পড়েছে ২৩২জন। বাকীরা ফর্ম ফিলামের শেষ দিন আজ রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) ফর্ম ফিলামের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। অতিরিক্ত ফি নেয়া হলেও শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়নি রশিদ। ওই কলেজের মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী মাসুদ মিয়া অভিযোগ করে বলে কলেজের অধ্যক্ষ আমাকে ৩ হাজার ১৫৫ টাকা দিয়ে ফরম পুরন করতে বলেন। কলেজের একজনের সুপারিশে আমি ২০০ টাকা কম করে ২ হাজার ৯৫৫ টাকা দিয়ে ফরম পুরন করেছি। এতে আমাকে বোর্ড নিদ্ধারিত ফির চেয়ে ৯ শত টাকা বেশী দিতে হয়েছে। কিন্তু তাও আবার রশিদ ছাড়াই। 
মানবিন শাখার অপর শিক্ষার্থী সেলিম হোসেন বলে তাকে ৩ হাজার ১৫৫ টাকা দিয়ে ফরম পুরন করতে হয়। এতে বোর্ড নিদ্ধারিত ফির চেয়ে এক হাজার ১শত টাকা বেশী দিতে হয়েছে রশিদ ছাড়াই।
বিজ্ঞান বিভাগের শাকিল মিয়া জানায়, বোর্ড নির্দ্ধারিত ফি দুই হাজার ৪৩৫ টাকা। আমাকে ফরম পুরণের জন্য কলেজ অধ্য ২ হাজার ৮৩৫ টাকা নিয়েছে । আমি উক্ত টাকার জন্য রশিদ চাইলে তিনি বলেন রশিদ লাগবেনা।
এছাড়াও পেয়ারুল ইসলাম, আজাদ হামিদুল, এজাবুল, জাহাঙ্গীর আলম সহ অনেকেই ফরম পুরনে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার কথা স্বীকার করে। তারা বলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডের চেয়ে তিনশত টাকা বেশী নিতে পারে। কিন্তু সেখানে মানবিকে এক হাজার একশ টাকা বেশী নিয়েছে। আর বিজ্ঞানে নিয়েছে চারশত টাকা বেশী।
ওই এলাকার বেশ কিছু অভিভাবক বলেন আমরা দেখতে পাই প্রতি বছরই বোর্ডের নির্দেশনা না মেনে নিজেদের নিয়মে পরীক্ষার ফি আদায় করে আসছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।  কোচিং ও উন্নয়ন ফি বাবদ মাত্রাতিরিক্ত ফি আদায়ের ফলে গরীব, মেধাবী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিপাকে পড়েছেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থরা এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি করেছে।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের কাছে ফরম পুরনে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার কথা অস্বীকার করে  বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পুরন বাদে কোচিং ফি, অনলাইন ফি, ও টিউশন ফির নামে কিছু টাকা নেয়া হয়েছে তবে সেটি সামান্য পরিমানে।
অপর দিকে কলেজের গর্ভনিং বর্ডির সভাপতি নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী বলেন, ফরম পুরনে বোর্ডের নির্ধারিত ফির থেকে ৩০০ টাকা বেশি নিতে পারবে। এর বেশি যদি নেয় তাহলে তা তদন্ত করে দেখতে হবে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 7522205517603358126

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item