জলঢাকা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাহাদুরের মামলা দায়ের
https://www.obolokon24.com/2017/12/jaldhaka_61.html
বিশেষ প্রতিনিধি ২৯ ডিসেম্বর॥
নিজ দেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার অভিযোগে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী (৬৫) সহ চার জনকে আসামীকে করে আদালতের মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল বৃহম্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নীলফামারী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত ১ এই মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জলঢাকা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর।
মামলার অপর তিন আসামী হলো উক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু (৩৮), মেয়ে জামাই জলঢাকা সতীঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুজ্জামান বাবু (৪৭) ও তাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মুক্তা হিমাগাড়ের ম্যানেজার নুরুল হুদা (২৭)।
মামলায় বাদী আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর জানায়, জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী জলঢাকা জামায়াত শিবিরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। মামলার অপর তিনজন তার সহযোগীতা কারী। নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরীগঞ্জ আংশিক) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী তার প্রার্থীতার আগাম জানান দিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে পোষ্টার, বিলবোর্ড স্থাপন করে। সেখানে তিনি জাতীয় পতাকার প্যাটানে লালজমিকে তার মুখমন্ডল এবং সবুজ জমিতে বিভিন্ন কথা লিখে প্রচারে নাম ব্যবহার করেছে এলাকার সর্বস্থরের জনগন।
আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর আরো জানায়, তার এই প্রচারনায় এলাকার জনগন সহ তিনি নিজে কথা বলে জাতীয় পতাকার প্যাটান করে বিলবোর্ড ও পোষ্টার তুলে ফেলতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি তা কর্ণপাত করেননি। এমনকি মামলার অপর তিন জন তা প্রচারার জন্য স্থাপন ও দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানোর সহযোগীতা করে। যার ফলে তিনি বাধ্য হয়ে জাতীয় পতাকাকে অসম্মানের অভিযোগ তুলে ১২৪/ক/৩৪ ধারায় আদালতে উক্ত চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা আনয়ন করে আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি চেয়েছেন।
এই মামলার আইনজীবী নুরুল জাকী স্টালিন বলেন, লাল-সুবজ পতাকা হৃদয়ে ধারণ করে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ। নয় মাসের যুদ্ধে দেশ স্বাধীন করে আপন অস্তিত্ব, অধিকার, চেতনা ও মূল্যবোধ বিশ্ববাসীর কাছে ছড়িয়ে দিয়েছিল এ দেশই। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে রাঙা আর নির্যাতিত ৪ লাখ মা-বোনকে জড়িয়ে রাখা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আমাদের অর্জন, আমাদের গর্ব, আমাদের অহঙ্কার।
এ পতাকার ছায়াতলে আমরা বারবার একত্রিত হই। মিছিল করি পতাকা হাতে। এর অবমাননা মানে জাতির হৃদ¯পন্দন থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। জাতীয় পতাকার অসম্মানের অর্থ বাংলাদেশের জন্মইতিহাস উপেক্ষা করা। আজ সে ধৃষ্টতাই দেখিয়েছে অপশক্তির ধারকরা। তাই এই মামলাকে আমরা গুরুত্বসহকারে দায়ের করেছি।
তিনি বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জলঢাকা থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছে।
নিজ দেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার অভিযোগে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী (৬৫) সহ চার জনকে আসামীকে করে আদালতের মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল বৃহম্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নীলফামারী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত ১ এই মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জলঢাকা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর।
মামলার অপর তিন আসামী হলো উক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু (৩৮), মেয়ে জামাই জলঢাকা সতীঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুজ্জামান বাবু (৪৭) ও তাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মুক্তা হিমাগাড়ের ম্যানেজার নুরুল হুদা (২৭)।
মামলায় বাদী আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর জানায়, জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী জলঢাকা জামায়াত শিবিরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। মামলার অপর তিনজন তার সহযোগীতা কারী। নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরীগঞ্জ আংশিক) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী তার প্রার্থীতার আগাম জানান দিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে পোষ্টার, বিলবোর্ড স্থাপন করে। সেখানে তিনি জাতীয় পতাকার প্যাটানে লালজমিকে তার মুখমন্ডল এবং সবুজ জমিতে বিভিন্ন কথা লিখে প্রচারে নাম ব্যবহার করেছে এলাকার সর্বস্থরের জনগন।
আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর আরো জানায়, তার এই প্রচারনায় এলাকার জনগন সহ তিনি নিজে কথা বলে জাতীয় পতাকার প্যাটান করে বিলবোর্ড ও পোষ্টার তুলে ফেলতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি তা কর্ণপাত করেননি। এমনকি মামলার অপর তিন জন তা প্রচারার জন্য স্থাপন ও দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানোর সহযোগীতা করে। যার ফলে তিনি বাধ্য হয়ে জাতীয় পতাকাকে অসম্মানের অভিযোগ তুলে ১২৪/ক/৩৪ ধারায় আদালতে উক্ত চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা আনয়ন করে আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি চেয়েছেন।
এই মামলার আইনজীবী নুরুল জাকী স্টালিন বলেন, লাল-সুবজ পতাকা হৃদয়ে ধারণ করে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ। নয় মাসের যুদ্ধে দেশ স্বাধীন করে আপন অস্তিত্ব, অধিকার, চেতনা ও মূল্যবোধ বিশ্ববাসীর কাছে ছড়িয়ে দিয়েছিল এ দেশই। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে রাঙা আর নির্যাতিত ৪ লাখ মা-বোনকে জড়িয়ে রাখা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আমাদের অর্জন, আমাদের গর্ব, আমাদের অহঙ্কার।
এ পতাকার ছায়াতলে আমরা বারবার একত্রিত হই। মিছিল করি পতাকা হাতে। এর অবমাননা মানে জাতির হৃদ¯পন্দন থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। জাতীয় পতাকার অসম্মানের অর্থ বাংলাদেশের জন্মইতিহাস উপেক্ষা করা। আজ সে ধৃষ্টতাই দেখিয়েছে অপশক্তির ধারকরা। তাই এই মামলাকে আমরা গুরুত্বসহকারে দায়ের করেছি।
তিনি বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জলঢাকা থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছে।