বাহাদুরের বিরুদ্ধে জলঢাকা উপজেলা চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
https://www.obolokon24.com/2017/12/jaldhaka_29.html
মর্তুজা ইসলাম,জলঢাকা প্রতিনিধি-
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করাকে কেন্দ্র করে তিনি মামলার বাদী যুবলীগ নেতা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় জলঢাকা বড়ঘাট নিজবাসভবনে আলহাজ্ব সৈয়দ আলী এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এস.আলী গ্রুপের এমডি শরিফুল ইসলাম বাবু,জামাতা আতিকুজ্জামান বাবু ।
আলহাজ্ব সৈয়দ আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার বিরুদ্ধে গত ২৮ ডিসেম্বর নীলফামারীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার যে পিটিশন মামলা করেছেন তা সম্পূর্নরুপে মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে ভালবেসে আমার সর্মথকগণ লাল ও সবুজ রং ব্যবহার করে যে পোষ্টার ও ফেষ্টুন লাগিয়ে প্রচার করেছে তা জাতীয় পতাকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। তাই কোন ভাবেই জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়নি । এছাড়াও অযৌক্তিক ভাবে আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তুলে তিনি মাঠ গরম করে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন তা আজগুবি ও ভূয়া।তিনি তার লিখিত বক্তব্যে তার বিরুদ্ধে মামলার বাদী আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরের সমালোচনা করে বলেন আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর নিজের নৈতিক অধঃপতনের কারনে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অসংলগ্ন ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দিয়ে সমাবেশ করে জনগনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তা সম্পূর্নরুপে বানোয়াট ও ভিক্তিহীন। যা তার ডুবন্ত অস্তিত্ব জানান দেওয়ার নিষ্ফল চেষ্ঠা মাত্র।
তিনি তার ও তার পরিবারকে নিয়ে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে সন্ত্রাসী কায়দায় অশালীন,কুরুচিপূর্ন বক্তব্য ও প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেন। যার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হলেন তিনি। সৈয়দ আলী আরো বলেন, আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর একজন উদ্ভট,লোভী ও উচ্চভিলাসী ব্যক্তি। ২০১২ সালে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে খাদ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অপরাধে যুবলীগের সভাপতির পদ হারায়। এছাড়া তিনি ‘যখন যার-তখন তার’ বেশ ধারন করে বিভিন্ন জনকে ব্ল্যাকমেইলিং করে আর্থিক সুবিধা অর্জন করে থাকেন। সে সামান্য স্কুল শিক্ষক হয়ে কি ভাবে বিলাস বহুল গাড়ী ব্যবহার করে তা রহস্যজনক।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিদের প্রশ্নের জবাবে আলহাজ্ব সৈয়দ আলী বলেন, আমি উপজেলা বিএনপি’র দীর্ঘদিন ধরে জলঢাকা উপজেলার সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি । বর্তমানে আমি কোন রাজনীতি দলেল সঙ্গে জড়িত নই। আমি কখনও জামায়াত করিনা বা যোগদানও করিনি।
বরং অভিযোগকারীর পিতাই ছিলেন উপজেলার তালিকা ভুক্ত একজন রাজাকার। যার প্রামান আমার কাছে রয়েছে।
উল্লেখ যে গত কাল বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নীলফামারী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ১ আদালতে নিজ দেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার অভিযোগে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী (৬৫) চেয়ারম্যানের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু (৩৮), মেয়ে জামাই জলঢাকা সতীঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুজ্জামান বাবু (৪৭) ও তাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মুক্তা হিমাগাড়ের ম্যানেজার নুরুল হুদা (২৭) সহ চার জনকে আসামীকে করে আদালতের মামলা দায়ের করেন আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। মামলাটি ১২৪/ক/৩৪ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ মামলা আনয়ন করে আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জলঢাকা থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।