যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পিছপা হব না : প্রধানমন্ত্রী

অবলোকন-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয়ী জাতি। অন্যায়ের কাছে মাথানত অথবা যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পিছপা হব না।

আজ রবিবার চট্টগ্রামে বিএনএ ফ্লোটিলায় রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ মিডশিপম্যান-২০১৫ পরিদর্শন শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

নৌবাহিনীর জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জলসীমায় নজরদারি বাড়াতে আরও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার ক্রয় প্রক্রিয়াধীন। অবকাঠামোগত উন্নয়নে পটুয়াখালীতে এভিয়েশন সুবিধা সম্বলিত নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটি ও ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নৌঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলমান। এ ছাড়া সাবমেরিনের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও জেটি সুবিধার জন্য কুতুবদিয়ায় একটি সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেলে জাহাজ বার্থিং সুবিধাসংবলিত ফ্লিট সদর দফতরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এতে সমুদ্র এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে বলে আমি আশা করি।’

তিনি বলেন, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তির পর এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সি, ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশের সম্পদের অধিকার লাভ করেছি। বর্তমান সরকার সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।


সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়নে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরিতে নৌবাহিনীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা রাখছে জানিয়ে বলেন, আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমায় রয়েছে মৎস্য, খনিজ তেল ও অন্য খনিজ পদার্থসহ মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় অর্থনীতিতে এ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। এ সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কার্যপরিধি এখন অনেক বেড়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণে জাতির অস্তিত্বের ইতিহাস প্রতিফলিত হয়েছে। আমার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ভাষণ দিতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রাক্কালে বাবাকে পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয়, তার বিবেক যা বলে- সেই কথাগুলোই ভাষণে বলে আসতে। আমার মা বুঝতেন, জাতির পিতাই বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা, দুঃখ-বঞ্চনার কথা সবচেয়ে ভালো জানেন। বাঙালি জাতির প্রতি তার মতো গভীর আন্তরিকতা আর কারো নেই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শোষণ-শাসনে জর্জরিত জাতির বেদনার উপাখ্যান। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি জাতির পিতার আহ্বানে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধের অবিনশ্বর ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাসের আলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আত্মবিশ্বাসী এবং দৃঢ়চেতা করবে।’

এবার ২১ জন নারী কর্মকর্তা কমিশন পেতে যাচ্ছে এবং এটা নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিডশিপম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘১৯৬৬’র ৬-দফায় বঙ্গবন্ধুই প্রথম পূর্ববঙ্গে নৌবাহিনীর সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছিলেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে তোমরা এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্বে আত্মনিয়োগ করবে। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে সর্বদা ঊর্ধ্বতনদের প্রতি আনুগত্য ও অধঃস্তনদের সহমর্মিতা প্রদর্শন করবে। চেইন অব কমান্ড মেনে চলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে বিশ্ব দরবারে আরও গৌরবোজ্জ্বল আসনে অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে।’

সকালে শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নৌ ঘাঁটিতে এসে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাউদ্দিন আহমেদ ও চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়াল অ্যাডমিরাল এম আবু আশরা ফতাকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠান শেষে তিনি সদ্য প্রয়াত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় যাবেন।

এদিকে বিকালে প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলিত হয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গেছে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 4108776782014568917

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item