ডিমলায় সাত বছরের শিশু বিকালে নিখোঁজ সকালে পাওয়া গেল তার লাশ

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১২ ডিসেম্বর॥
বাড়ির সামনে খেলতে খেলতে গতকাল সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে নিখোঁজ হয় সাত বছরের শিশু জাহিদ হোসেন। নিখোঁজের ১৫ ঘন্টা পর আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টায় শিশুটির মরদেহ পাওয়া গেল নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের শ্বশানের ঘাটের একটি লিচু বাগানে। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। শিশুটিকে গলায় দড়ি পেচিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারনা করছে।

পুলিশ জানায়, ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন সুন্দরখাতা গ্রামের আসাদ আলী ও জুলেখা বেগমের ছেলে শিশু জাহিদ। মা বাবার মধ্যে ৫ বছর আগে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। বিয়ে বিচ্ছেদের পর জুলেখা তার ছেলেসহ ডিমলা সদরের বাবুরহাট শ্মশানের পাড় গ্রামে বাবা মৃত কালু মাহমুদের বাড়িতে উঠে। এখানে জুলেখা তার মা অলিমন বেওয়া ও ভাই আলিমুদ্দিনের সংসারে থাকতো। গত আড়াই বছর আগে জুলেখা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করে আলমগীর হোসেন নামের এক যুবককে। স্বামী সহ জুলেখা মা এর বাড়ির আধা কিলেমিটার অদুরে বাবুরহাট গ্রামে বসবাস করলেও তার সন্তান জাহিদ নানী ও মামার বাড়িতেই থাকতো। এ অবস্থায় শিশুটি পরিকল্পিতভাবে হত্যার শিকার হলো।

শিশুটির নানী আলিমন বেওয়া জানায়, নাতী জাহিদ তার কাছেই থাকতো। মাঝে মাঝে সে দিনের বেলা তার মায়ের সঙ্গে দেখা করে দিনেই ফিরে আসতো। কোনদিন মা ও সৎ বাবার বাড়িতে রাতে ছিল না জাহিদ। কারন সৎ বাবা জাহিদকে দেখতে পারতো না।
তিনি আরো জানান, গতকাল সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে বাড়ির সামনে খেলতে খেলতে জাহিদ নিখোঁজ হয়। তাকে খুঁজতে বের হন তিনি। এক পর্যায় হায়দার নামে এক ব্যাক্তি জানায় শিশু জাহিদ তার মা এর সঙ্গে দেখা করতে গেছে। রাত নেমে আসায় তিনি অদুরে জাহিদের মা জুলেখার বাড়িতে ছুটে যান। কিন্তু সেখানেও জাহিদ যায়নি। এরপর নাতীকে না পেয়ে ফিরে আসেন নিজ বাড়িতে। রাতে আবারো তিনি দিনমজুর ছেলে আলিমুদ্দিনকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে জাহিদকে খুঁজে পাননি। এরপর সকাল ৭টার দিকে খবর পান গ্রামের অদুরে একটি লিচুবাগানে নাতী জাহিদের লাশ পড়ে আছে।
এ দিকে শিশু হত্যার খবর পেয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ও ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ পুলিশ ঘটনাস্থল ছুটে যান।
ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে গলায় দড়ি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। বিষয়টি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। হত্যাকারীকে চিহিৃত করতে অনুসন্ধ্যান চলছে। পাশাপাশি লাশ উদ্ধার করে জেলার মর্গে ময়না তদন্তে প্রেরন করা হয়েছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশুটি হত্যার ঘটনাটি অত্যান্ত মর্মান্তিক। হত্যাকারীকে খুঁজে বের করতে পুলিশকে অনুরোধ করেছি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7296691360255706671

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item