ঠাকুরগাঁওয়ে পরকিয়ার বলি যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার-গ্রেফতার-৩
https://www.obolokon24.com/2017/11/thakurgaon_11.html
আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আঁকচা মুন্সিপাড়া এলাকায় লিচু বাগান থেকে অন্তর (১৮) নামে এক যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আঁকচা মুন্সিপাড়া এলাকায় লিচু বাগান থেকে অন্তর (১৮) নামে এক যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আঁকচা মুন্সিপাড়া এলাকার একটি লিচু বাগান থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ
জানায়, সদর উপজেলা আঁকচা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকার এক ব্যক্তি লিচু
বাগানে যুবকের লাশ গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে
সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্তর (১৮) নামে যুবকের লাশ
উদ্ধার করে। তাৎনিক পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের যুবক অন্তর (১৮) হত্যাকান্ডের মূল রহস্য
উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে ৩ জনকে আটক করা
হয়েছে বলে সদর থানা সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার ভোর রাতে পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ বিশেষ টেকনোলজি ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটকের কথা স্বীকার করেছেন।
আটককৃতরা হলেন: গোয়ালপাড়া এলাকার ভূমি অফিসে কর্মরত রফিক, হত্যাকান্ডের শিকার অন্তরের খালা লুৎফা ও অন্তরের বন্ধু শাহীন।
অনুসন্ধানে
জানা গেছে, হত্যাকান্ডের শিকার অন্তরের (১৮) খালা লুৎফার সাথে ঠাকুরগাঁও
ভূমি অফিসের কর্মচারি গোয়ালপাড়া এলাকার রফিকের পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
অন্তর এক সময় পরকিয়ার বিষয়টি টের পেলে লুৎফা ও রফিকের অবৈধ সম্পর্কের
বিষয়টি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও দিয়ে অন্তর ভূমি অফিসের
কর্মচারি রফিকের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ভিডিও ও মেমোরি কার্ড দিয়ে
দেওয়ার শর্তে। টাকার জন্য অন্তর রফিককে প্রায় চাপ সৃষ্টি করে।
রফিক
বৃহস্পতিবার ৫০ হাজার টাকা দেনা করে অন্তরকে দেওয়ার জন্য রাজি হয়। টাকা
প্রদানের আগেই রফিক অন্তরকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহন করে অন্তুরের এক বন্ধু
শাহীন সাথে। রফিক অন্তরকে টাকা প্রদানের জন্য মুঠো ফোনে কল দেয় রাতেই। পড়ে
শাহীন অন্তরকে ডেকে মুন্সিপাড়ার একটি লিচু বাগানে নিয়ে যায়। অন্তর রফিকের
কথা মত লিচু বাগানে দেখা করলে প্রথমে ধারনকৃত ভিডিও ও মেমোরি কার্ড নিয়ে ৫০
হাজার প্রদান করেন।
উক্ত
টাকা পেয়ে অন্তর চলে যেতে চাইলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রফিক ও শাহীন
তাকে পথরোধ করে গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে
অন্তর। মৃত্যুর নিশ্চিত হলে হত্যাকারী রফিক ও শাহীন উক্ত ৫০ হাজার টাকা
নিয়ে সটকে পড়ে। হত্যার কান্ডের বিষষে এখন তথ্য অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে।
প্রাথমিক ভাবে রফিক পরকিয়া ও ৫০ হাজার টাকার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশকে
জানিয়েছেন।
শুক্রবার
সন্ধ্যায় পুলিশ লিচু বাগান থেকে যুবক অন্তরের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ
ফারহাত আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষনিক হত্যাকান্ডের মূল রহস্য
উদঘাটনের জন্য পুলিশের বিশেষ টিম কাজ শুরু করেন। অবশেষে পুলিশের বিশেষ
টেকনোলজি ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য ও অভিযুক্ত ৩ জনকে রাতে
গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ
সুপার ফারহাত আহমেদ হত্যাকান্ডের জড়িতদের আটকের স্বীকার করে বলেন, হত্যার
মূল রহস্য পুলিশ তাৎক্ষনিক উদঘাটন করতে পেরে দক্ষতা পরিচয় দিয়েছেন। পুলিশ
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।