সৈয়দপুর শহরে দুই দিনের ব্যবধানে দুইটি মোটরসাইকেল চুরি ॥ শহরবাসী আতঙ্কিত

তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

 সৈয়দপুর শহরে দুই দিনের ব্যবধানে পৃথক দুইটি এলাকা থেকে দুইটি মোটরসাইকেল চুরি গেছে। এর মধ্যে একটি শহরের আতিয়ার কলোনী এলাকার সাঈদ আজিজের বাড়ি থেকে চুরি যায়। আর অন্যটি শহরের ওয়াপদা হাজীবাড়ির বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন জাবিস্কোর বাড়ি থেকে চুরি গেছে। চোরের দল উল্লিখিত দুইটি বাড়ির বারান্দার লোহার গ্রীল কেটে মোটরসাইকেল দুইটি চুরি করে নিয়ে যায়। এ দুইটি চুরির ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ করা হয়েছে। শহরের অভ্যন্তরের বাড়ি থেকে দূর্ধর্ষভাবে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় শহরবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা শহরে রাতে টহল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরের আতিয়ার কলোনী এলএসডি রোড এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে মো. সাঈদ আজিজ। তিনি ঘটনার দিন গত বুধবার (১ নভেম্বর) রাতে তাঁর ব্যবহৃত বাজাজ কোম্পানির ১৫০ সিসি’র পালসার লাল রঙের মোটরসাইকেলটি যথারীতি গ্রীল দিয়ে ঘেরা বাড়ির বারান্দায় রাখেন। আর ওই দিন গভীর রাতে চোরের দল বাড়ির প্রধান ফটকের তালা ও বারান্দার লোহার গ্রীল কেটে তাঁর মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। ভোরে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য ঘুম থেকে জেগে উঠে তিনি দেখেন তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি যথাস্থানে নেই।
আর এর ঠিক দুই দিন আগে অর্থাৎ গত ২৯ অক্টোবর রাতে একই কায়দায় বারান্দার গ্রীল কেটে চুরি যায় ওয়াপদা হাজীবাড়ি এলাকার স্থায়ী অধিবাসী বাম রাজনীতিবিদ দেলোয়ার হোসেন জাভিস্কোর একটি পালসার মোটরসাইকেল। তিনি জানান , ঘটনার দিন  গভীর রাতে সৈয়দপুর শহর থেকে বাড়িতে ফিরেন। এরপর প্রতিদিনের মতো তাঁর ব্যবহৃত বাজাজ কোম্পানীর ১৫০সিসি’র লাল রঙের পালসার মোটরসাইকেলটি গ্রীলে ঘেরা বাড়ির বারান্দার রেখে দেন। ওই দিন গভীর রাতে চোরেরা বারান্দার লোহার গ্রীল কেটে তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি টের পান তিনি।
শহরের বাড়ি থেকে দুই দিনের ব্যবধানে একই কায়দায় দুইটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় পৃথক দুইটি অভিযোগ করা হয়েছে। চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল দুইটির মালিক যথাক্রমে দেলোয়ার হোসেন জাভিস্কোর ও সাঈদ আজিজ নিজেই স্থানীয় থানায় ওই লিখিত অভিযোগ করেন।
শহরের ওয়াপদা হাজীবাড়ির বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন জাভিস্কো অভিযোগ করে বলেন, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় তিনি ওই দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু  পুলিশ তা উদ্ধারে তেমন তৎপরতা দেখাচ্ছেন না। তাদের মধ্যে যেন গাছাড়া ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। থানা পুলিশ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব কর্তব্যের প্রতি একটু আন্তরিক হলেই চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, দুই দিনের ব্যবধানে দুইটি পৃথক মহল্লা থেকে দুইটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় গোটা শহরবাসীর মধ্যে চুরির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শহরবাসী মোটরসাইকেল মালিকরা বাড়ির ঘরের মধ্যেও মোটরসাইকেল রেখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
ওয়াপদা নয়াহাট এলাকার বাসিন্দা সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক কমিশনার মো. আখতার খান জানান, সাম্প্রতিক সময়ে শহরে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটেছে। তিনি রাতে টহলরত পুলিশের দায়িত্ব-কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তিনি অভিযোগ করেন টহল পুলিশ সদস্যরা রাত দুইটার পর পরই তাদের টহল এলাকা থেকে চলে আসেন। এতে করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে অহরহ।
 এ নিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) মুঠোফোনে কথা হয় সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্জাহানের সঙ্গে। তিনি শহরের দুইটি বাড়ি থেকে দুইটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, পুলিশের তালিকাভূক্ত মোটরসাইকেল চোরেরা সকলেই জামিনে রয়েছে। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়াসহ চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4217140035984219519

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item