হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ: আরও এক ইউপি সদস্য আটক
https://www.obolokon24.com/2017/11/rangpur_18.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল,রংপুর:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ধর্ম অবমাননাকর’ ছবিসহ স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর বাজার থেকে সিরাজুল ইসলাম নামের ওই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। সিরাজুল ইসলাম রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রংপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ।
এর আগে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে একই ইউনিয়নের দুজন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ইউপি সদস্যরা হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুল হক ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জয়নাল আবেদিন।
প্রসঙ্গত, রংপুরের সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামের মৃত খগেন রায়ের ছেলে টিটু রায় ফেসবুকে ‘ধর্মীয় অবমাননাকর’ ছবিযুক্ত একটি স্ট্যাটাস দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর ওই এলাকার লালচাঁদপুর গ্রামের মুদি দোকানি আলমগীর হোসেন অভিযুক্ত হিন্দু যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ওই যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে গত ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার এলাকাবাসী বিক্ষোভও করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০ নভেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে খলেয়া ইউনিয়নের সলেয়াশা ও বালাবাড়ি গ্রাম এবং পাশের মমিনপুর গ্রামের ৮ থেকে ১০ হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও লাঠি ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ছররা গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সংঘর্ষ চলাকালেই হামলাকারীদের একটি একদল হিন্দু অধ্যুষিত ঠাকুরপাড়ায় গিয়ে কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট করে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে। সেসময় কমপক্ষে ২০ জন আহত ও একজন নিহত হয়েছেন।
হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গঙ্গাচড়া ও কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। দুই মামলায় অজ্ঞাত দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ ও সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ দেড়’শ অধিক জনকে গ্রেফতার করেছে।
গত ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার ঠাকুরপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের জানান, টিটু রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর বুধবার টিটুকে রংপুরের বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক দেবাংশু কুমার সরকার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ধর্ম অবমাননাকর’ ছবিসহ স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর বাজার থেকে সিরাজুল ইসলাম নামের ওই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। সিরাজুল ইসলাম রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রংপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ।
এর আগে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে একই ইউনিয়নের দুজন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ইউপি সদস্যরা হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুল হক ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জয়নাল আবেদিন।
প্রসঙ্গত, রংপুরের সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামের মৃত খগেন রায়ের ছেলে টিটু রায় ফেসবুকে ‘ধর্মীয় অবমাননাকর’ ছবিযুক্ত একটি স্ট্যাটাস দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর ওই এলাকার লালচাঁদপুর গ্রামের মুদি দোকানি আলমগীর হোসেন অভিযুক্ত হিন্দু যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ওই যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে গত ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার এলাকাবাসী বিক্ষোভও করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০ নভেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে খলেয়া ইউনিয়নের সলেয়াশা ও বালাবাড়ি গ্রাম এবং পাশের মমিনপুর গ্রামের ৮ থেকে ১০ হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও লাঠি ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ছররা গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সংঘর্ষ চলাকালেই হামলাকারীদের একটি একদল হিন্দু অধ্যুষিত ঠাকুরপাড়ায় গিয়ে কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট করে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে। সেসময় কমপক্ষে ২০ জন আহত ও একজন নিহত হয়েছেন।
হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গঙ্গাচড়া ও কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। দুই মামলায় অজ্ঞাত দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ ও সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ দেড়’শ অধিক জনকে গ্রেফতার করেছে।
গত ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার ঠাকুরপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের জানান, টিটু রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর বুধবার টিটুকে রংপুরের বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক দেবাংশু কুমার সরকার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।