ডিমলা সড়কের কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা

বিশেষ প্রতিনিধি ১২ নবেম্বর॥
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ ছেড়ে পালিয়ে গেছে অনেক আগেই। মেরামতের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বেহালদশায় রয়েছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ভাদুরদরগাঁ হয়ে ডিমলা উপজেলা শহরের পোষ্ট অফিস মোড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার আঞ্চলিক প্রধান সড়কটি। এতে ওই সড়কে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারন মানুষজন সহ বাস যাত্রীসহ যানবাহনের চালকেরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে টেন্ডারের মাধ্যেমে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আঞ্চলিক সড়কটি মেরামতের কাজ পেয়েছিলো মেসার্স মাসুমা বেগম এন্টারপ্রাইজ। কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যাওয়ায় ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানা গেছে।
সুত্র মতে, সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি স¤পাদনের জন্য ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর রংপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসুমা বেগমকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের জুনে। কিন্তু কাজের পরিধি বাড়ায় বরাদ্দ বাড়িয়ে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা করে কাজটি স¤পাদনের জন্য সময়সীমা দেয়া হয়  চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত।
আজ রবিবার (১২ নবেম্বর) সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি টুনিরহাট হতে ডিমলা উপজেলা পোষ্ট অফিস মোড় পর্যন্ত ১২ ফিট প্রস্থ্যের ৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ সমাপ্ত করে। কিন্তু, হঠাৎ করে কোনো কিছু না জানিয়েই কাজ বন্ধ করে দেয় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এখন বাকী ১০ কিলোমিটার ভাদুরদরগা পর্যন্ত ১৮ ফিট প্রস্থ্যের সড়কটি আর কাজ শুরু করা হয়নি। ফলে নাজেহাল অবস্থা সড়কটির। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবহন। প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় নানা দুর্ঘটনা। এক সময় এ রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগতো ১০ থেকে ১৫ মিনিট। আর এখন লাগছে দ্বিগুণেরও বেশি। বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও মালিকরা বলছে ওই সড়কে গাড়ি চালালে যন্ত্রাংশেরও ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া দুর্ঘটনাতো লেগেই আছে।
নাম প্রকাশ না করার সর্ত্বে অনেকে জানায়, ঠিকাদারকি এমনি পালিয়েছে? এখানে যত চাঁদাবাজির ঘটনা। কে বালু দিবে, কে খোয়া দিবে, কে পাথর দিবে এ নিয়ে চলে ঠিকাদারের উপর হুমকী ও চাপ। কেউ কেউ মোটা অংকের চাঁদাও চেয়ে বসে। ফলে ঠিকাদার নিরুপায় হয়ে কাজ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
এ ব্যাপারে নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে জানা যায় তিনি এক সরকারী সফরে লন্ডনে রয়েছে।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে গেছে । ফলে সড়কটিতে আরও খানাখন্দ তৈরি হয়ে বেহাল দশায় পড়েছে। তিনি বলেন,এ ঘটনায় ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটিকে ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নতুন করে টেন্ডার (দরপত্র) আহ্বানের প্রক্রিয়াও চলছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1207498433858437360

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item