কুড়িগ্রামে হারিয়ে যাচ্ছে ভোগ ধান
https://www.obolokon24.com/2017/11/kurigram_18.html
হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে হারিয়ে যেতে বসেছে ভোগ ধান। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। কেউ বলে ভোগ ধান, কেউ বলে কালোজিরা, আবার কেউ বা বলে জামাই আদুরি ধান। যে নামেই বলা হোক না কেন এখানকার গ্রামাঞ্চলে এর নাম ভোগ ধান। আগেকার দিনে অধিকাংশ কৃষক ও গৃহস্থরা এ ধান চাষ করতো। এই ভেগি ধান রয়েছে দুই ধরনের। একটি সাদা আরেকটি কালো রংয়ের। তবে কালো রংয়ের ধানটাই চাষ হতো অনেক। ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে যেতেই আসতো এ ধানের মনোমুগ্ধকর সুগন্ধি। সুগন্ধি পেলেই মনে হতো এর পায়েশ, পোলাও, বিরিয়ানী এবং পিঠা খাওয়ার কথা। সে সময় কোনো বাড়িতে আত্মীয় কিংবা জামাই আসলেই ভোগ ধানের চালে তৈরি এসব সুস্বাদু খাবার রান্না করে খাওয়াতো শ্বশুর বাড়িতে। কিন্তু ধীরে ধীরে এ ধানের বিলুপ্তি হওয়ায় এমন মজাদার খাবার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সবাই। এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না এ ধান। জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে যেমন কমিয়ে যাচ্ছে আবাদী জমি তেমনই এসব ধান চাষেও আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। এখন নতুন নতুন আবিষ্কৃত স্বল্প মেয়াদী উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ফলে ভোগ ধান অথবা জামাই আদুরি ধানের বিলুপ্তি ঘটছে। নাগেশ্বরী উপজেলার সাঞ্জুয়ার ভিটা এলাকার ডা. আশরাফ আলী জানায়, তিনি এবারে ১ বিঘা জমিতে ভোগ ধান আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো। এ ধান চাষে বেশ তৃপ্তিবোধ করছেন তিনি। সাপখওয়া এলাকার কৃষক আবুল হোসেন ব্যাপারী জানায়, তিনি মাত্র ২শ ৫০গ্রাম ধানের বীজ দিয়ে বাড়ির পাশেই চার শতক জমিতে ভোগ ধানের আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় পরবর্তীতে আরো বেশি করে আবাদের চিন্তা আছে। কৃষক এরশাদ আলী জানায়, ১ কেজি ধান বীজ দিয়ে ১৮শতক জমিতে এ ধান আবাদ করেছেন তিনি। তবে গতবারের চয়ে এবারে হাঁস, মুরগির উৎপাতে ধান কম হবে। তার বাড়িতে বোন-বোন জামাইসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন আসায় এসব ধান প্রতিবিারই চাষ করেন। নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদুর রহমান সরকার জানায়, বর্তমানে কৃষকরা হাইব্রিড ও ব্রি ধানসহ অন্যান্য ধানের ফলন বেশি হওয়ায় এবং তুলনামূলকভাবে ভোগ ধানের ফলন কম হওয়ায় এ ধান চাষে আগ্রহ কমছে কৃষকদের।
কুড়িগ্রামে হারিয়ে যেতে বসেছে ভোগ ধান। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। কেউ বলে ভোগ ধান, কেউ বলে কালোজিরা, আবার কেউ বা বলে জামাই আদুরি ধান। যে নামেই বলা হোক না কেন এখানকার গ্রামাঞ্চলে এর নাম ভোগ ধান। আগেকার দিনে অধিকাংশ কৃষক ও গৃহস্থরা এ ধান চাষ করতো। এই ভেগি ধান রয়েছে দুই ধরনের। একটি সাদা আরেকটি কালো রংয়ের। তবে কালো রংয়ের ধানটাই চাষ হতো অনেক। ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে যেতেই আসতো এ ধানের মনোমুগ্ধকর সুগন্ধি। সুগন্ধি পেলেই মনে হতো এর পায়েশ, পোলাও, বিরিয়ানী এবং পিঠা খাওয়ার কথা। সে সময় কোনো বাড়িতে আত্মীয় কিংবা জামাই আসলেই ভোগ ধানের চালে তৈরি এসব সুস্বাদু খাবার রান্না করে খাওয়াতো শ্বশুর বাড়িতে। কিন্তু ধীরে ধীরে এ ধানের বিলুপ্তি হওয়ায় এমন মজাদার খাবার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সবাই। এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না এ ধান। জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে যেমন কমিয়ে যাচ্ছে আবাদী জমি তেমনই এসব ধান চাষেও আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। এখন নতুন নতুন আবিষ্কৃত স্বল্প মেয়াদী উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ফলে ভোগ ধান অথবা জামাই আদুরি ধানের বিলুপ্তি ঘটছে। নাগেশ্বরী উপজেলার সাঞ্জুয়ার ভিটা এলাকার ডা. আশরাফ আলী জানায়, তিনি এবারে ১ বিঘা জমিতে ভোগ ধান আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো। এ ধান চাষে বেশ তৃপ্তিবোধ করছেন তিনি। সাপখওয়া এলাকার কৃষক আবুল হোসেন ব্যাপারী জানায়, তিনি মাত্র ২শ ৫০গ্রাম ধানের বীজ দিয়ে বাড়ির পাশেই চার শতক জমিতে ভোগ ধানের আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় পরবর্তীতে আরো বেশি করে আবাদের চিন্তা আছে। কৃষক এরশাদ আলী জানায়, ১ কেজি ধান বীজ দিয়ে ১৮শতক জমিতে এ ধান আবাদ করেছেন তিনি। তবে গতবারের চয়ে এবারে হাঁস, মুরগির উৎপাতে ধান কম হবে। তার বাড়িতে বোন-বোন জামাইসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন আসায় এসব ধান প্রতিবিারই চাষ করেন। নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদুর রহমান সরকার জানায়, বর্তমানে কৃষকরা হাইব্রিড ও ব্রি ধানসহ অন্যান্য ধানের ফলন বেশি হওয়ায় এবং তুলনামূলকভাবে ভোগ ধানের ফলন কম হওয়ায় এ ধান চাষে আগ্রহ কমছে কৃষকদের।