কিশোরগঞ্জে দেশী জাতের হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সামিনা-মংলু দম্পতি

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
দেশি জাতের হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়ে সবাইকে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছেন সামিনা বেগম ও মংলু দম্পতি । হাঁস পালন করে তাদের অভাবের সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা । তাদের এ সফলতায় এলাকার অনেকেই হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে অনেকেই তাদের কাছে হাঁস পালনের জন্য পরামর্শ নিচ্ছেন। সামিনা বেগম ও মংলু দম্পতির বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পুর্ব দলিরাম দোলাপাড়া গ্রামে।
গত মঙ্গলবার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে পুর্ণবাসিত এক ভিক্ষুকের বাড়িতে অবস্থানকালে সামিনা ও মংলু দম্পতির হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প শুনে ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা য়ায়, সামিনা বেগম তাঁর বাড়ির আঙ্গিনায় দেশি প্রজাতির অনেকগুলো  হাঁসকে খাবার দিচ্ছেন। এসময় তার সাথে কথা বললে তিনি আবেগতাড়িত কন্ঠে ইত্তেফাকে  জানান, ভাই আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ২০ বছর আগে । আমার স্বামী মানুষের জমিতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতো। আমার দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ মোট পাঁচ সদস্যের সংসারে অভাবের অন্ত ছিলনা। ৫ বছর আগে আমি আমার বড় বোন নিলুফা ইয়াসমিনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ও আমার স্বামী কুমিল্লা গিয়ে শ্রমিকের কাজ করে  ১২ হাজার টাকা নিয়ে আসে। বোনের ১০ হাজার ও আমার স্বামীর কাজের ১২ হাজার মিলে আমার ভগ্নিপতি আব্দুল হাইয়ের পরামর্শে প্রথমে একহাজার দেশি জাতের হাঁসের বাচ্চা নিয়ে পালতে শুরু করি। আর এতেই তার ভাগ্যের পরিবর্তন হতে শুরু করে।  পর্যাক্রমে তিনি প্রতিবছর হাঁস ও হাঁসের ডিম বিক্রি করে বছরে ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা করে জমাতে থাকেন। হাঁস ও হাঁসের ডিম বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি তাঁর একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি হাঁস ও হাঁসের ডিম বিক্রির টাকায় তিনি ৫ শতক জমিও ক্রয় করেছেন। বর্তমানে তাঁদের খামারে ডিম দেয়া হাঁস দুই শতাধিক । আর পাঁচ শতাধিক হাঁস রয়েছে বিক্রিযোগ্য। ডিম দেয়া হাঁসগুলোকে বাড়িতেই খাবার দেয়া হয়। আর যেগুলো বিক্রি করা হবে সেগুলো বিলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে খাওয়ানো হয়।  সামিনা মংলু  দম্পতির সংসারে এখন আর কোন অভাব নেই। আছে শুধু সফলতা আর স্বপ্নের হাতছানি। কিন্তু তারপরও তারা  থেমে নেই। তাঁদের  স্বপ্ন হাসেঁর খামারটি আরো বড় করা।  আর তাঁদের  এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা নিরন্তন চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারী সাহায্য সহযোগিতা পেলে তাঁদের স্বপ্ন পুরন হবে বলে তারা আশাবাদি।  উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সামিনা মংলু দম্পতি হাঁস পালন করে সবাইকে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছে। তারা গোটা উপজেলার মডেল। সরকারীভাবে তাদের হাঁস পালনের প্রশিক্ষন প্রদান সহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8665645180347287841

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item