জলঢাকায় নির্মিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

বিশেষ প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর॥
স্বাধীনতার  ৪৬ বছর ধরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছিল ছোট একটি শহীদ মিনারে। এবার নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে জলঢাকাবাসীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যার মূল উদ্যোক্তা জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ রাশেদুল হক প্রধান।
গতবছর (২০১৬) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকেই বিভিন্ন সভা-সেমিনারে জোরালো দাবি ওঠে একটি আধুনিক শহীদ মিনার নির্মানের। সেই চিন্তা থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তাফার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন তিনি। অবশেষে গত ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন প্রস্তুতি সভায় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী একটি কমিটি গঠন করা হয়। যার প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই।
এরপর শুরু হয় অর্থ সংগ্রহের কাজ। ব্যবসায়ী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট। চলতি বছরের ১৩ জুলাই ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে শুরু হয় শহীদ মিনার নির্মাণের প্রস্তুতি। গত ২১ আগস্ট এর আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরীগঞ্জ আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা।
মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে উপজেলাবাসীর কাঙ্খিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের স্বপ্ন পূর্ণতা পেতে থাকে। যে যার মতো করে সহযোগিতা করে চলেছে এ নির্মাণ কাজে।
উপজেলা প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদ বলেন, একজন ডিজাইনারের ডিজাইন অনুসারে এর কাজ চলছে। শহীদ মিনার নির্মাণের পাশাপাশি এখানে থাকবে আধুনিকমানের মুক্তিযুদ্ধ ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স, মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার, দৃষ্টিনন্দন একটি বাগানসহ নির্মিত হবে প্রাতঃভ্রমণের জন্য সড়ক। যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল গফফার বলেন, এমন একটি কাজের সঙ্গে নিজেকে স¤পৃক্ত করতে পেরে ধন্য মনে করছি। শহীদ মিনারটি পূর্ণতা লাভ করলে উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. রাশেদুল হক প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি মনেপ্রাণে। জলঢাকায় যোগদানের পর থেকেই মনে হয়েছিল এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরসেনাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি আধুনিক শহীদ মিনার নির্মাণের। তাই সবার সহযোগিতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নির্মিত হচ্ছে জলঢাকাবাসীর প্রাণের শহীদ মিনার। আগামী ১৬ ডিসেম্বর শহীদ মিনারটির অনাড়ম্বরভাবে উদ্বোধন করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, বিগত দিনে এ আসনটিতে স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন জামায়াত অধিষ্ঠিত ছিল দীর্ঘসময় ধরে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হয়নি উপজেলাটিতে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে আসনটি ফিরে পাই। জলঢাকার গণমানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সর্বপ্রথম আমি উদ্যোগ নেই শহীদ মিনারটি নির্মানের।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 853330510784952543

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item