ডোমার -চিলাহাটি সড়ক সংস্কারে ধীরগতিতে জনদুর্ভোগ চরমে
https://www.obolokon24.com/2017/11/domar_12.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রির্পোটার-
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ডোমার -চিলাহাটি সড়কটি সংস্কার কাজে ধীরগতির কারনে খানা -খন্দকে জনদূর্ভোগ চরমে উঠেছে। ওই পথে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ সড়কটি ভেঙ্গে গোটা সড়কে ইটের খোয়া বিছিয়ে প্রায় এক বছর ধরে ফেলে রাখার কারনে ওই পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি বলছেন,আগামী জানুয়ারী /২০১৮ ইং পযর্ন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার । স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বলছে ঠিকাদারকে সড়কের ভাগে ভাগে কাজ করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা গোটা সড়ক ভেঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
রবিবার ওই সড়কে গিয়ে দেখা গেল ডোমার থেকে চিলাহাটির বোতলগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কের বেশী ভাগ অংশ ইটের খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়েছে। ওই সড়কে চলাচল করছে কম সংখ্যক ইজিবাইক, বাইসাইকেল, মটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও পিকআপ।
এ সময় কথা হয় ওই সড়কের জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম (৪৫) সংগে। তিনি বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে এক বছরের বেশী দিন ধরে খোয়া বিছিয়ে রাখার কারনে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ওই সড়কে। প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে। প্রায় দেড় মাস আগে এই সড়কে ইটের খোয়ার কারনে নিয়ন্ত্রন হাড়িয়ে মটরসাইকেল আরোহী এক নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার স্বামী ও শিশু সন্তান। গোটা সড়ক এক সঙ্গে না ভেঙ্গে ভাগ ভাগ করে কাজ করলে এতটা সমস্যা হতো না। সড়কের পিচ ঢালাইর কাজ কেন হচ্ছে না, জানি না।
একই ইউনিয়নের ষ্টেশন বাজারে সার ব্যবসায়ী আবু হোসনাইন সিদ্দিকী তুষার (৪৫)বলেন, প্রায় এক বছরের বেশী সময় ধরে রাস্তাটা এভাবে পড়ে আছে, ঠিকাদারের লোকজনকেও ঐভাবে দেখা যায় না। খোয়া উঠে যাওয়া রাস্তায় খাল খন্দক ভরে গেছে ।মোটর সাইকেলের টায়ার নষ্ট হচ্ছে ।ওই রাস্তায় প্রায় দিনই মটরসাইকেল, ভ্যানরিক্সা উল্টে পড়ে। মানুষজন আহত হচ্ছে। মালামাল আনা নেয়া করতে পরিবহন খরচ বেশি দিতে হয়। কতদিনে যে সড়কটির কাজ শেষ হবে কে জানে?
ওই সড়কে কথা হয় ভ্যানচালক রাশেদুল ইসলাম (৩৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, এভাবে আর কতদিন চলা যায়? রাস্তাটা ভেঙে প্রায় এক বছর ধরে এভাবে ফেলে রেখেছে। ভ্যান নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় না। এই কারনে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। । ভ্যানরিক্সার টায়ার ১৫দিনও যায় না। চাকা পানচার হয়ে যায় ।ভ্যানে মানুষ চড়তে চায় না ।শরীর ব্যথা করে ।গর্তে পানি জমে গাড়ী যাওয়ার সময় চিটকে আসে। টাকা কামাই (আয় ) হয় না ।একবার এই পথে যে যায় সে আর যেতে চায় না। এলাকার মানুষজন বাধ্য হয়ে এ পথে চলাচল করছে।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি (ম্যানেজার) মোঃ রইস উদ্দিন বলছেন,আগামী জানুয়ারী /২০১৮ ইং পযর্ন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার ।আপনারা সবাই জানেন ,এবার আবহাওয়ার কারনে সব ঠিকাদার কাজ করতে পারছে না ।আশা করি আগামী জানুয়ারী/১৮ ইং মধ্যেই কাজ শেষ করব ।১৫ কিলোমিটারের মধ্যে আট কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে । মোট কাজের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে ।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্র মতে বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে নর্দান বাংলাদেশ ইণ্টিগ্রেটেড ডেভেলমেণ্ট প্রজেক্টের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ওই কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
সাত কোটি ৭৯ লাখ ১৭ হাজার ২২৮ টাকা ব্যায়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আতিয়ার রহমানকে ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হয় ।
এ বিষয়ে কথা বললে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আমরা টিকাদারকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করে কাজ করতে বলেছি। তারা সেটি না করে এক সঙ্গে সম্পুর্ণ সড়ক ভেঙে কাজ শুরু করায় জনদূর্ভোগ বেড়েছে। ঠিকাদার পর্যাপ্ত ইট না পাওয়ার অজুহাতে এতদিন কাজ বন্ধ রেখেছিল। এখন ইট পাওয়া যাচ্ছে তাই তারা কাজ শুরু করেছেন। সময়মত কাজ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ডোমার -চিলাহাটি সড়কটি সংস্কার কাজে ধীরগতির কারনে খানা -খন্দকে জনদূর্ভোগ চরমে উঠেছে। ওই পথে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ সড়কটি ভেঙ্গে গোটা সড়কে ইটের খোয়া বিছিয়ে প্রায় এক বছর ধরে ফেলে রাখার কারনে ওই পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি বলছেন,আগামী জানুয়ারী /২০১৮ ইং পযর্ন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার । স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বলছে ঠিকাদারকে সড়কের ভাগে ভাগে কাজ করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা গোটা সড়ক ভেঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
রবিবার ওই সড়কে গিয়ে দেখা গেল ডোমার থেকে চিলাহাটির বোতলগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কের বেশী ভাগ অংশ ইটের খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়েছে। ওই সড়কে চলাচল করছে কম সংখ্যক ইজিবাইক, বাইসাইকেল, মটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও পিকআপ।
এ সময় কথা হয় ওই সড়কের জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম (৪৫) সংগে। তিনি বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে এক বছরের বেশী দিন ধরে খোয়া বিছিয়ে রাখার কারনে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ওই সড়কে। প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে। প্রায় দেড় মাস আগে এই সড়কে ইটের খোয়ার কারনে নিয়ন্ত্রন হাড়িয়ে মটরসাইকেল আরোহী এক নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার স্বামী ও শিশু সন্তান। গোটা সড়ক এক সঙ্গে না ভেঙ্গে ভাগ ভাগ করে কাজ করলে এতটা সমস্যা হতো না। সড়কের পিচ ঢালাইর কাজ কেন হচ্ছে না, জানি না।
একই ইউনিয়নের ষ্টেশন বাজারে সার ব্যবসায়ী আবু হোসনাইন সিদ্দিকী তুষার (৪৫)বলেন, প্রায় এক বছরের বেশী সময় ধরে রাস্তাটা এভাবে পড়ে আছে, ঠিকাদারের লোকজনকেও ঐভাবে দেখা যায় না। খোয়া উঠে যাওয়া রাস্তায় খাল খন্দক ভরে গেছে ।মোটর সাইকেলের টায়ার নষ্ট হচ্ছে ।ওই রাস্তায় প্রায় দিনই মটরসাইকেল, ভ্যানরিক্সা উল্টে পড়ে। মানুষজন আহত হচ্ছে। মালামাল আনা নেয়া করতে পরিবহন খরচ বেশি দিতে হয়। কতদিনে যে সড়কটির কাজ শেষ হবে কে জানে?
ওই সড়কে কথা হয় ভ্যানচালক রাশেদুল ইসলাম (৩৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, এভাবে আর কতদিন চলা যায়? রাস্তাটা ভেঙে প্রায় এক বছর ধরে এভাবে ফেলে রেখেছে। ভ্যান নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় না। এই কারনে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। । ভ্যানরিক্সার টায়ার ১৫দিনও যায় না। চাকা পানচার হয়ে যায় ।ভ্যানে মানুষ চড়তে চায় না ।শরীর ব্যথা করে ।গর্তে পানি জমে গাড়ী যাওয়ার সময় চিটকে আসে। টাকা কামাই (আয় ) হয় না ।একবার এই পথে যে যায় সে আর যেতে চায় না। এলাকার মানুষজন বাধ্য হয়ে এ পথে চলাচল করছে।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি (ম্যানেজার) মোঃ রইস উদ্দিন বলছেন,আগামী জানুয়ারী /২০১৮ ইং পযর্ন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার ।আপনারা সবাই জানেন ,এবার আবহাওয়ার কারনে সব ঠিকাদার কাজ করতে পারছে না ।আশা করি আগামী জানুয়ারী/১৮ ইং মধ্যেই কাজ শেষ করব ।১৫ কিলোমিটারের মধ্যে আট কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে । মোট কাজের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে ।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্র মতে বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে নর্দান বাংলাদেশ ইণ্টিগ্রেটেড ডেভেলমেণ্ট প্রজেক্টের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ওই কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
সাত কোটি ৭৯ লাখ ১৭ হাজার ২২৮ টাকা ব্যায়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আতিয়ার রহমানকে ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হয় ।
এ বিষয়ে কথা বললে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আমরা টিকাদারকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করে কাজ করতে বলেছি। তারা সেটি না করে এক সঙ্গে সম্পুর্ণ সড়ক ভেঙে কাজ শুরু করায় জনদূর্ভোগ বেড়েছে। ঠিকাদার পর্যাপ্ত ইট না পাওয়ার অজুহাতে এতদিন কাজ বন্ধ রেখেছিল। এখন ইট পাওয়া যাচ্ছে তাই তারা কাজ শুরু করেছেন। সময়মত কাজ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে