ডোমার হরিণচড়ায় আসল কাজী কে? জনমনে নানা প্রশ্ন।

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নে আসল কাজী কে? এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করছে কথিত ব্যক্তি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে যানাযায়, উক্ত ইউনিয়নের শেওটগাড়ী এলাকার মৃত নেয়াজ আলীর ছেলে মোঃ জনাব আলী  ০৩/০৬/১৯৭৪ সালে লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কাজী হিসাবে দায়িত্ব পায়। দীর্ঘদিন কর্ম পরিচালনার পরে হরিণচড়া ইউনিয়নে শুন্যপদ থাকায় গত ০৯/০৩/১৯৯৪ সালে তাকে আইন ও বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্র্রনালয়ের সহকারী সচিব ইসরাইল হোসেন জনাব আলীকে হরিণচড়া ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রদান করেন। ১৫ বছর কাজ করার পর ২০০৯ সালে তিনি অবসরে যান। দীর্ঘদিন পদটি শুন্য থাকায় সাবেক কাজী মরহুম জনাব আলীর ছেলে আশিকুর রহমানকে উক্ত বিভাগের স্বারক নং-বিচার-৭/২এন-১/৮৯-১৭১৮ মূলে ২৬/১১/২০১৩ সালে সচিব হেমায়েত উদ্দিন হরিণচড়া ইউনিয়নের কাজী হিসাবে নিয়োগ দেন।অপর দিকে ডোমার সাব-রেজিষ্ট্রার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ইউপি চেয়ারম্যানের অনুমোদন ছাড়াই ওই ইউনিয়নের হংসরাজ এলাকার হোসেন আলীর ছেলে আব্দুল মালেক হঠাৎ গত ২৬/০৯/২০১৭ তারিখের অনুমোদন নিয়ে নিজেকে কাজী বলে দাবী করে এলাকায় প্রচারণা চালায়। এ নিয়ে এলাকায় নানামূখী জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে কাজী আশিকুর রহমান নতুন নিয়োগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে, শুনানি শেষে হাই কের্টের বিজ্ঞ বিচারপতি নাঈইমা হায়দার ও আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমান গত ০৯/১১/২০১৭ তারিখে আব্দুল মালেককে ৬ মাস সময়কাল পর্যন্ত স্থগিত ঘোষনা করেন এবং আশিকুর রহমানকে কাজী হিসাবে পূর্ণবহালের আদেশ দেন। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম জানান, মালেক কিভাবে কাজী হলো আমি নিজেও জানিনা কোন কাগজও পাইনি তবে আশিকুরের সমস্ত অনুমোদনের কাগজ আমাদের পরিষদে জমা আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা জটিলতায় ভুগছি।      

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7299424951916415527

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item