বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের সাথে খনি কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় ॥

মোঃ মেহেদী হাসান উজ্জল, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের সাথে খনি কর্তৃপক্ষের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয় নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড এর মনমেলা সভাকক্ষে খনি এলাকার ১৩টি ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের সাথে খনি কর্তৃপক্ষের দাবি দাওয়া নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলহাজ্ব হাবিব উদ্দিন আহম্মদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন আপনাদের ঘরবাড়ি ফাটলের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যে দাবি করেছেন আমি বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়গুলো উত্থাপন করব। তবে গত বোর্ড মিটিংয়ে আপনাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে যে অনুমোদন পাওয়া গেছে সেই টাকা আপনারা যদি না গ্রহণ করেন তাহলে কর্তৃপক্ষকে বুঝাতে আমার কষ্ট হবে। আমি আপনাদের ক্ষতিপূরণ সহ সব রকম সহযোগীতা করব। তবে আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া কোন কিছু করা সম্ভব নয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া খনি এলাকার জীবন পরিবেশ ও সম্পদ রক্ষা কমিটির আহব্বায়ক মোঃ মশিউর রহমান বুলবুল, তিনি তার বক্তব্যে বলেন,  খনি কর্তৃপক্ষ ঘরবাড়ি ফাটলের যে টাকা দিতে চায় তা আপনারা যদি গ্রহণ করেন আমার কিছু করার নেই। কিন্তু যেভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল তা খনি কর্তৃপক্ষ করেননি। খনি কর্তৃপক্ষ ১০দফা দাবি মেনে না নিয়ে মনগড়া জরিপ করে ঘরবাড়ি ফাটলের ক্ষতিপূরণ দিতে চায়। আমরা চাই পূর্বের ন্যায় ঘরপ্রতি তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তা না হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আমাদের লোকজনদেরকে প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে। ভয়ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে এ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি চেয়েছি। তা যদি দেওয়া হয় তাহলে জরিপ কাজে কেউ বাঁধা সৃষ্টি করবে না। তিনি আরও বলেন আমাদেরকে সময় দিতে হবে। গ্রামবাসীদের সাথে বসে আলোচনা স্বাপেক্ষে জরিপ কাজের বিষয়টি জানানো হবে খনি কর্তৃপক্ষকে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানীর নর্থ ও সাউথ জোনের জি.এম প্রজেক্ট ডাইরেক্টর এবিএম কামরুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সার্ফেস অপারেশনের জি.এম মোঃ সাইদুল ইসলাম, অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডিজিএম মোঃ আমিনুজ্জামান, ডি.জি.এম প্ল্যানিং এন্ড মনিটরিং এর মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জি.এম প্রশাসন এর মোঃ শরিফুল আলম।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ ১৩টি গ্রামের গ্রামবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্থ পাতিগ্রামের মোঃ সোলায়মান সামি, চকমহেশপুর গ্রামের লুৎফর রহমান, বৌদ্যনাথপুর গ্রামের লিয়াকত আলী, বৈগ্রামের গোলজার হোসেন, বাঁশপুকুর গ্রামের মোঃ মুকুল, কালুপাড়া গ্রামের মোঃ আফজাল, চৌহাটি গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান, দক্ষিণ রসুলপুর গ্রামের মোঃ আনারুল, উত্তর রসুলপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম রতন, জব্বারপাড়া গ্রামের আলম, বাঁশপুকুর গ্রামের বোরহান আলী প্রমুখ।

পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 7103733295973574181

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item