ফুলবাড়ী রেলস্টেশনটি আধুনিকায়নের দাবি

মেহেদী হাছান উজ্জল ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ রেলপথ সরকারি মালীকানা ও সরকার কর্তৃক পরিচালিত দেশের একটি মুখ্য পরিবহন সংস্থা। বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট ২৮৭৭.১০ কি:মি: রুট রয়েছে। যেহেতু দেশের এক প্রান্তকে অন্য প্রান্তের সাথে সংযোজন করার জন্য রেলপথ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থল পরিবহন ব্যবস্থা, তাই রেলপথের সার্বিক উন্নতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনের অতি পুরাতন একটি রেলস্টেশন দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী রেলস্টেশন। ব্রিটিশ শ্বাসন আমলে নির্মিত ফুলবাড়ী রেলস্টেশনটি নানা সমস্যা নিয়ে কার্যক্রম চলে আসছে। স্টেশনটি আধুনিকরনের দাবি এলাকার মানুষের। স্টেশনটি দ্রুত আধুনিকায়ন করে যাত্রী সেবার মান উন্নীত করতে পারলে এ স্টেশনের বার্ষিক আয় বর্তমানের চেয়ে দিগুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন এখানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও ।

রেল সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ শ্বাসন আমলে নির্মিত ফুলবাড়ী রেল স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন বরেন্দ্র,তিতুমির,রুপসা,সিমান্ত,দ্রুতযান, একতা,নীলসাগর (আন্তঃনগর) ট্রেনসহ ১০টি ট্রেন ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া ও সান্তাহার,নাটোর,ইশ্বর্দী ,চিলাহাটি, পঞ্চগড়, খুলনা, বুড়িমারী, রংপুর,যশোর,কুষ্টিয়া যাতায়াত করে। বর্তমানে এ স্টেশন থেকে প্রতি বছর এ স্টেশন হয়ে প্রায় ২০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। প্রতি বছর ১৫-২০ লক্ষ্য টাকা রাজস্ব আয় হয়। স্টেশনটি আধুনিকায়ন করে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি করতে পারলে এ আয় আরো বৃদ্ধি পাবে বলে বিভিন্ন মহল মনে করেন।

দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা পাথর খনি, বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, স্বপ্ন পুরি নামে একাট পিকনিক স্পট রয়েছে, সে কারনে  দেশি বিদেশী যাত্রীদের গমনাগমনে স্টেশনটির গুরুত্ব বেড়ে গেছে বহুগুণ। কিন্তু  যাত্রী সেবার মান উন্নত হয়নি। রেলের তুলনায় বাস ভাড়া দেড় থেকে দুইগুন বেশি, নিরাপত্তা ঝুঁকি কম থাকায়  রেলে যাত্রী সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও।

অথচ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের প্রাচীনতম ৩ লাইনের ফুলবাড়ী রেল স্টেশনটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। দির্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এ রেল স্টেশনে আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনী, সমস্যা গুলো দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ফুলবাড়ী রেলষ্টেশনের বুকিং মাষ্টার এস এম সোহাগ বলেন, এই স্টেশনটিতে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের আসন সংখ্যা কম হওয়ায় যাত্রী সাধারণকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এখানে যে পরিমাণ আসনের প্রয়োজন তার চেয়ে অর্ধেক আসন বরাদ্দ রয়েছে।


ফুলবাড়ী রেল স্টেশনটিতে স্থানিয় জনগনের সাহায্যে প্লাটফর্মে বসার জায়গা করা হলেও যা দিয়ে যাত্রীদের বসার চাহিদা পুরন হয় না তেমন,যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার থাকলেও নেই পর্যাপ্ত বসার জায়গা । স্টেশনটিতে খাবার পানীর সু-ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রী সাধারণকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। স্টেশনের ভবনের অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। প্লাটফর্মে চাহিদা মোতাবেক ইলেক্টিক ফ্যান নেই যার কারনে গরম কালে যাত্রীদের কষ্ট সহ্য করতে হয় ।

এই স্টেশনে অনুসন্ধান বা তথ্য কেন্দ্র না থাকায় যাত্রী সাধারণ বেকায়দায় পড়েন। প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক বাতির অভাবে সন্ধ্যার পর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বেশির ভাগ জায়গা। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ বাতি না থাকার ফলে মাদকসেবী, চোরাকারবারি দখলে রেল এলাকা। স্টেশনে চলাচলকারী ট্রলি ভ্যানগুলোতে রাবারের চাকা না থাকায় শব্দ দূষণ হয় প্রতিনিয়ত। স্টেশনটির আশপাশে গড়ে উঠেছে মাদক ব্যাবসায়ীদের শখ্যতা ফলে পরিবেশ নষ্ট করেছে মাদকসেবীরা। সীমানা প্রাচীর না থাকায় ছিনতাইকারীরা অপরাধ সংঘটিত করে নির্বিষেœ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। স্টেশনের পাশদিয়ে যদি সীমানা প্রাচীর থাকত তাহলে অপরাধী ও বিনা টিকিটের যাত্রীরা সহজে স্টেশন থেকে পালিয়ে যেতে পারত না এমনটাই অভিযোগ করেন সচেতন মহল ।

পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 1187619926927163718

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item