এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে কোচিং বাণিজ্য চরমে

আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
কোচিং সেন্টার চালিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সরকারি কোনো নীতিমালা ছাড়াই চলছে এসব কোচিং সেন্টারগুলো।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেয়ার চেয়ে অর্থ উপার্জনকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। এটিকে একদিক দিয়ে কোচিং বাণিজ্যও বলা যায়।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভাধীন গোয়ালপাড়া, সরকার পাড়া,বসিরপাড়া,ঘোষপাড়া, হাজিপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে কোচিং সেন্টার।

শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে কোচিং সেন্টারগুলো।এসব কোচিং সেন্টারগুলো ওপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।
ব্যক্তিমালিকানাধীন এসব কোচিং সেন্টারে ইচ্ছামাফিক বিজ্ঞাপন ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে করছে প্রতারণা।

এসব কোচিং সেন্টারগুলোতে ভর্তি বা কোর্স ফিও নিচ্ছে ইচ্ছেমত এবং প্রতি বছর তা বেড়েই চলছে।একেক কোচিং সেন্টারে ভর্তি বা কোর্স ফি একেক রকম।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। আর এসময়টিকে কাজে লাগিয়ে কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

প্রত্যেক বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মডেল টেস্ট পরীক্ষার শেষ মুহুর্তে দেখা যায় বিজ্ঞাপন, দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার, ব্যানার লাগিয়ে প্রচারণা করছে কোচিং মালিকরা।

দেখা গেছে, এক একটি কোচিং সেন্টারে দিনে প্রায় তিন থেকে চারটি ব্যাচ পড়ানো হয়।প্রত্যেকটি ব্যাচে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে পড়ানো হয়।

কোচিং সেন্টারগুলোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক রয়েছে। আর কোচিং সেন্টারগুলোতে একটি ব্যাচ দেড় ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা পড়ানো হয়। এক একটি ক্লাস ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত নেয় কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা।

জানা যায়, দেশে কোচিং সেন্টার চালু করার জন্য সরকারের কোনো অনুমোদন নিতে হয় না। যে কেউ ইচ্ছামতো, যখন খুশি কোচিং সেন্টার চালু করতে পারে।

এর ফলে ব্যাঙের ছাতার মতো এখানে সেখানে গজিয়ে উঠছে কোচিং সেন্টার। শিক্ষার মহান সেবার ব্যানারে এক শ্রেণীর মুনাফালোভীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা।

অবশ্য এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন কোচিং ব্যবসায়ীরা। এক কোচিং সেন্টারের মালিক জানান, তারা শতভাগ শিক্ষা সেবার জন্যই কাজ করছেন, কোন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান,কোচিং সেন্টারে একসাথে এতোগুলো শিক্ষার্থী কখনোই কিছু শিখতে পারবেনা।  শিক্ষার্থীদের শেখবার মূল স্থান হলো বিদ্যালয়।কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের পড়ার কোনো প্রয়োজন মনে করিনা। 
তবে শিঘ্রই এসব কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 8360604275210527488

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item