চুন তৈরী করার কারিগররা স্বাবলম্বী
https://www.obolokon24.com/2017/10/thakurgaon_50.html
আব্দুল আওয়াল, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনুকের চুন তৈরির ঐতিহ্য এখনও ধরে রেখেছে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের জুগী কারিগররা। শত বছর ধরে বংশ পরস্পরায় ওই গ্রামের বাসিন্দারা ঝিনুকের চুন তৈরির সাথে যুক্ত। বংশ পরস্পরায় তাদের অন্যতম প্রধান পেশা চুন তৈরি। কিছুদিন আগে অভাব-অনটন আর পুঁজির অভাব থাকলেও এখন বর্তমানে তাঁরা কিছুটা সাবলম্বী। তাদের তৈরি চুন চলে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। ঠাকুরগাঁও শহর থেকে মাত্র ৪-৫ কিলোমিটর দূরেই কালিতলা নামক স্থানে প্রায় ৮-১০ পরিবার এই পেশায় জড়িত। এই এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঝিনুক কিনে নানা প্রক্রিয়ায় চুন তৈরি করে তারা। চুন শিল্পের কারিগর শ্রী অতুল দেবনাথ জানান, চুন তৈরির কাজ আমাদের জাত পেশা। আগে খাল-বিল, নদী-নালায় পর্যাপ্ত পরিমাণ শামুক ও ঝিনুক পাওয়া যেত। কিন্তু এখন আর তা পাওয়া যায়। তাই এখন আমাদেরকে অতিরিক্ত দামে তা সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কেজি প্রতি শামুক ও ঝিনুক ১০-১২ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। ফলে কিছুটা উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। আর এক কারিগর শ্রী শপেন দেবনাথ জানান, চুনের বর্তমান বাজার দর প্রতিকেজি ২০-৩০ টাকা। প্রতি চালানে শামুক ও ঝিনুক ৫০কেজি লাগে, খড়ি, খড় প্রায় ৩০০ টাকা লাগে পোড়ানোসহ মোট ৮০০ টাকা খরচ হয়। প্রতি চালানে ৬০ কেজি থেকে ৭০ কেজি চুন উৎপাদন হয়। এতে খরচ বাদ দিয়ে সামান্যই লাভ হয়। তা দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্ট হয়। তাই পেশার পাশাপাশি কৃষি কাজ করতে হয়। তিনি সংশয় প্রকাশ করে আরো বলেন, আমি বা আমরা আর কতদিন এ পেশা ধরে রাখতে পারবো তা ভগবানই জানেন।
ঝিনুকের চুন তৈরির ঐতিহ্য এখনও ধরে রেখেছে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের জুগী কারিগররা। শত বছর ধরে বংশ পরস্পরায় ওই গ্রামের বাসিন্দারা ঝিনুকের চুন তৈরির সাথে যুক্ত। বংশ পরস্পরায় তাদের অন্যতম প্রধান পেশা চুন তৈরি। কিছুদিন আগে অভাব-অনটন আর পুঁজির অভাব থাকলেও এখন বর্তমানে তাঁরা কিছুটা সাবলম্বী। তাদের তৈরি চুন চলে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। ঠাকুরগাঁও শহর থেকে মাত্র ৪-৫ কিলোমিটর দূরেই কালিতলা নামক স্থানে প্রায় ৮-১০ পরিবার এই পেশায় জড়িত। এই এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঝিনুক কিনে নানা প্রক্রিয়ায় চুন তৈরি করে তারা। চুন শিল্পের কারিগর শ্রী অতুল দেবনাথ জানান, চুন তৈরির কাজ আমাদের জাত পেশা। আগে খাল-বিল, নদী-নালায় পর্যাপ্ত পরিমাণ শামুক ও ঝিনুক পাওয়া যেত। কিন্তু এখন আর তা পাওয়া যায়। তাই এখন আমাদেরকে অতিরিক্ত দামে তা সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কেজি প্রতি শামুক ও ঝিনুক ১০-১২ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। ফলে কিছুটা উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। আর এক কারিগর শ্রী শপেন দেবনাথ জানান, চুনের বর্তমান বাজার দর প্রতিকেজি ২০-৩০ টাকা। প্রতি চালানে শামুক ও ঝিনুক ৫০কেজি লাগে, খড়ি, খড় প্রায় ৩০০ টাকা লাগে পোড়ানোসহ মোট ৮০০ টাকা খরচ হয়। প্রতি চালানে ৬০ কেজি থেকে ৭০ কেজি চুন উৎপাদন হয়। এতে খরচ বাদ দিয়ে সামান্যই লাভ হয়। তা দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্ট হয়। তাই পেশার পাশাপাশি কৃষি কাজ করতে হয়। তিনি সংশয় প্রকাশ করে আরো বলেন, আমি বা আমরা আর কতদিন এ পেশা ধরে রাখতে পারবো তা ভগবানই জানেন।