সঞ্জিত রায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির টাকা পেল॥স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সহায়তা প্রদানের আশ্বাস

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৭ অক্টোবর॥
জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ প্রোটাল অবলোকনে গতকাল সোমবার (১৬ অক্টোবর) “অর্থের অভাবে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারছে না নীলফামারীর মেধাবী সঞ্জিত” শিরোনামে প্রকাশিত খবরের পর দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। এতে আজ মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ৬০ হাজার ৫০০ টাকা এসেছে। অনেকে তার মেডিক্যাল কলেজে পড়শোনার ব্যয় বহনের আশ্বাস প্রদানও করেন।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের পক্ষে তার ব্যাক্তিগত সহকারী আবুল কালাম আজাদ আজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় মোবাইল ফোনে সঞ্জিততের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার লিখাপড়া খবচ বহনে সহায়তা করবেন। এ জন্য সঞ্জিততে ঢাকায় গিয়ে মন্ত্রী মহদয়ের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে বলা হয়েছে।

এদিকে সঞ্জিত জানায়, তার ঢাকার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ভর্তির জন্য যারা নগদ অর্থ দিয়ে সাহার্য্য প্রদান করেছেন তারা হলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম ১০ হাজার, নীলফামারী শাখামাছাহাট ফেসবুক গ্রুপের প্রধান ফজলুল হক খোকন ১০ হাজার , দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট তুষার কান্তি রায় ১০ হাজার, মার্কেটাইল ব্যাংকের নীলফামারী শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার সাহিদ আব্দুল্লাহ আল মাহদী ১০ হাজার, নীলফামারী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ দেবী প্রসাদ রায় ৫ হাজার সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন অনেকে রয়েছেন এই সহায়তা প্রদানে।

সঞ্জিত আরো জানায়, নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ্ আপেল ও তার বড় ভাই মেহেদী হাসানের সহায়তায় মেডিকেল কলেজের লিখা পড়ায় ব্যয়ভার বহন করবে। এছাড়া ঢাকার অরিয়ম ফার্মা নামের একটি ঔষধ কোম্পানী ৫বছরের জন্য তাকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহামাদ খালেদ রহীদ জানান, অনলাইন পত্রিকা অবলোকন সহ বিভিন্ন জাতীয়, দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় খবরটি পড়ে তাৎক্ষনিকভাবে সঞ্জিত কুমার রায়কে সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত করি এবং আজ মঙ্গলবার সকালে সঞ্জিত রায়কে অফিসে ডেকে এনে তার ভার্তির জন্য ১০ হাজার টাকা প্রদান করি।
এদিকে সঞ্জিত রায়ের মা যশোদা রায় তার ছেলের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির টাকা সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে তিনি তার ছেলের মেডিক্যাল কলেজে লিখাপড়ার ব্যয় বহনের আহবান জানান।

উল্লেখ যে, পিতৃহারা সঞ্জিত উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তার পারিবারিক অসচ্ছলতায় প্রধান বাধা পড়েছিল। সে এবার ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে মেধা তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। মেডিকেলে ভর্তির তার রোল নম্বর ১৯৩৪০৫। ভর্তির সিরিয়াল নম্বর ৩৫১। কিন্তু মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রাথমিকভাবে  ১০ হাজার টাকা প্রয়োজন। ভর্তির শেষ তারিখ ১৯ অক্টেবর।
নীলফামারীর জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের বাদিয়ারমোড় গ্রামের মৃত হিরেন্দ্র নাথ রায় ও অসহায় মা যশোদা রায়ের দুই মেয়ে দুই ছেলের মধ্যে সবার ছোট সঞ্জিত।
তার বাবা ২০০৯ সালের ২৯ ্এপ্রিল জটিলরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অর্থের অভাবে মৃত্যু বরন করে। মা দিন মজুরী করে সংসার চালায়। মাত্র ৩৩ শতক জমির ফসল আবাদ করে সংসার চালায়।
অর্থাভাবে বাবার চিকিৎসা করাতে না পেরে বাবাকে হারানোর পর সঞ্জিত শপথ নেয় সে ডাক্তার হয়ে অসহায় গরীব দুখির চিকিৎসা সেবা করবে।

ভর্তির টাকা যোগার করতে না পেরে সঞ্জিত উত্তরবাংলাডটকমের এই প্রতিবেদকের কাছে এসে তার দুঃখ কষ্ঠের কথা খুলে বললে তাকে নিয়ে উত্তরবাংলাডটকমে খবর প্রকাশ করা হয়। ওই খবর প্রকাশে সঞ্জিতকে সহায়তা প্রদানে অনেকে এগিয়ে আসেন।
অবলোকনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের লিঙ্কটি নিচে দেয়া হলো 

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6870283797730735718

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item