রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা নেবে বাংলাদেশ


: মিয়ানমারে থেকে আসা রোহিঙ্গাদের প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সহায়তা নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এই সহায়তার পরিমাণ ও ধরন কী হবে- তা ঠিক হবে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে বুধবার বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম দিন বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সনের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বিশ্বব্যাংকের দুই কর্মকর্তা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। বিশ্বব্যাংকও রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে চায়, সহায়তা করতে চায়। আমরা তদের সহায়তা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা কী পরিমাণ সহায়তা দেবে, সে সহায়তার কতটা অনুদান হবে; কতটা  ঋণ হবে, না পুরোটাই ঋণ হবে তা তা আমরা দুপক্ষ বসে ঠিক করব।

মুহিত জানান, শিগগিরই বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে যাবে। তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এবং বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি -আইডিএ ‘রিফিউজি ফান্ড’ নামে নতুন একটি তহবিল গঠন করেছে, যার উদ্দেশ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের সহায়তা দেয়া।

এই তহবিলের আকার ২০০ কোটি ডলার। যে কোনো দেশ প্রয়োজনে সেখান থেকে ৩ বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ ৪০ কোটি ডলার ঋণ নিতে পারে। তবে সে জন্য সুদ দিতে হয়। মোট অর্থের একটি অংশ বিশ্বব্যাংক অনুদান হিসেবেও দিতে পারে। 

বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান চিমিয়াও ফান গত ২৭ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তহবিল থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ঋণ দেয়ার বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন।

অর্থমন্ত্রী মুহিত সে সময় বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থা সহায়তা করছে। বাংলাদেশ আশা করে, বিশ্বব্যাংকও সেখাবে সহায়তা দেবে, ঋণ নয়।

বুধবার বিশ্বব্যাংকের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সহায়তার ব্যাপারে তারা খুবই আগ্রহ প্রকাশ করেছে।ৃ বাংলাদেশ এই তহবিলের কী পরিমাণ পাবে; শর্ত কী হবে সেসব বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত হবে।’

বিশ্বব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, লাখ লাখ রোহিঙ্গার ভার সামাল দিতে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চেয়েছে এবং বিশ্বব্যাংক এই সংকটে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত আছে।

ওই সহায়তার পরিমাণ কী হবে তা এখনো নির্ধারণ করা না হলেও স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন এবং সড়ক অবকাঠামোর মতো বিষয় এর আওতায় আসতে পারে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 178224688705067225

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item