পীরগাছায় বিদ্যালয় মেরামতের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

 ॥ সুফল থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগাছায় বিদ্যালয় সংস্কারের নামে ভূয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত অর্থ বছরে উপজেলার ১ শত ৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে প্রায় সোয়া কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ পাওয়া অর্থ দিয়ে বিদ্যালয় গুলো সংস্কার না হওয়াসহ শিক্ষা উপকরণ সুবিধা থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গত অর্থ বছরে উপজেলার ৯ ইউনিয়নে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী-৩ ও রাজস্ব খাত থেকে ২৩ প্রতিষ্ঠানে বিপরীতে ২৩ লাখ টাকা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী-৩ এর আওতায় টয়লেট সংস্কারের জন্য ৬ প্রতিষ্টানের বিপরীতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পান।
গত অর্থ বছরে বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা(স্লিপ) এর জন্য ১৭৯ টি প্রতিষ্টানে ৮০লাখ ৫৫ হাজার টাকা ও রুটিন মেরামত এর জন্য ৬৫ প্রতিষ্টানের বিপরীতে ৬ লাখ ১৭ হাজার ৫শত টাকা বরাদ্ধ পায়। সবমিলে গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বিদ্যালয় গুলোর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের জন্য ১ কোটি ১০ লাখ ৫৪ হাজার ৫ শত টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ পাওয়া অর্থ দিয়ে অধিকাংশ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মুলক কাজ করা হয়নি । সংশ্লি¬ষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা সহকারি প্রকৌশলীদের সাথে প্রতিষ্ঠান প্রধানের যোগসাজসে ভূয়া বিল ভাইচার দিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে ইটাকুমারি ইউনিয়নের উত্তর অনন্তরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি নতুন ভবন হলেও গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বৃহৎ মেরামতের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। বরাদ্ধ প্রাপ্ত অর্থ নামমাত্র কাজ করে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। ছাটকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্লি¬প, রুটিন মেরামত, প্রাক-প্রাথমিক ও বিদ্যালয় সংস্কার বাবদ ১লাখ ৫৪ হাজার ৫শত টাকা বরাদ্ধ পান। টিনশেড ঘর মেরামতের জন্য শুধুমাত্র ৩০/৪০ হাজার টাকা ব্যয় করলেও অবশিষ্ট টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। এছাড়াও উপজেলার আরাজি গোপাল বালিকা,কৈকুড়ী গুচ্ছ গ্রাম,চর রহমত পূর্ব পাড়া,উত্তর তাম্বুলপুর,তাম্বুলপুর মাষ্টার পাড়া,রামগোপাল পূর্বপাড়া,দক্ষিণ ছাওলা,দৌলত খাঁ,চর ছাওলা কামারের হাট,কাশিম, দোয়ানি মনিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র, বরাদ্দ পাওয়া অর্থ কোন কাজ না করে কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে আত্মসাত করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিক-উজ-জামান জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ পাওয়া অর্থ সঠিক ভাবে ব্যবহার হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 4575009061503005815

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item