নীলফামারীতে পঞ্চম শ্রেণীর মডেল টেস্ট পরীক্ষা ইসলাম ধর্মের একটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে নানা প্রশ্ন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৩০ অক্টোবর॥
নীলফামারী সদর উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর মডেল টেস্ট পরীক্ষায় ইসলাম ধর্ম ও  নৈতিক শিক্ষা প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা বলছেন, এটি অমার্জণীয় ভুল।
অপর দিকে উপজেলা শিক্ষা প্রশ্নকর্তা বলছেন, এটাও একটা পরীক্ষা।
নীলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভিন্ন প্রশ্ন পত্রে সম্প্রতি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর মডেল টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলায় ২২ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর ২০৭টি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সদর উপজেলার পরীক্ষায় গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ইসলাম ধর্ম ও  নৈতিক শিক্ষার প্রশ্নপত্রে চার নম্বর প্রশ্ন ছিল, “তোমার পাড়ার একজন লোক মারা গিয়েছে। তোমরা অবশ্যই সবাই মিলে তাকে কবরে দাফন করলে। সে কোথায় যাবে ?  ক) জাহান্নাম, খ) দোযখ,  গ) নরক,  ঘ)  বৃন্দাবন ।” এর সঠিক উত্তরটি উত্তর পত্রে লিখতে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বার বার প্রশ্নটি পড়ার পরও এর উত্তর আমারা খুঁজে পাই নাই। পরীক্ষায় বসে ওই প্রশ্নটি নিয়ে ভাবতে আমাদের অনেক সময় নষ্ঠ হয়েছে।
অপরদিকে অভিভাবকরা বলছেন, শিশুদের এমন প্রশ্ন করাটা অবান্তর। এ ধরণের প্রশ্ন যারা করেছেন তারা মারা গেলে কোথায় যাবেন, সেটি কী বলতে পারবেন ?
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বললেন, এ ধরণের ভুলের কারণে আমাদের অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অবান্তর প্রশ্ন বুঝতে ওই পরীক্ষায় শিশুদের অনেকে সময় নষ্ট হয়েছে।
এদিকে ওই প্রশ্ন নিয়ে একাধিক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে না না মন্তব্য করেছেন।
একজন লিখেছেন, অধর্ম আর অনৈনিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে শিশুদেরকে। আরেকজন বলেছেন, প্রশ্নকর্তা জাহান্নাম, দোযখ, নরক, বৃন্দাবন বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন ?
এব্যাপারে আজ সোমবার জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অনুপস্থিতে সহকারী মনিটরিং কর্মকর্তা হাসান তারিক বলেন, বিষয়টি নজরে আসলে এ ভুলের কারণ জানতে চেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তিনি এর জবাব দিবেন।
তিনি আরো জানান, পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ এবং সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস ছাত্তার সদস্য সচিব। অপর সাতজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও দুইজন শিক্ষক কমিটির সদস্য।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ উত্তেজিত হয়ে বলেন, এটা নিয়ে তিলকে তাল বানালে বানান। সমাপণীর (পঞ্চম শ্রেণী) প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে, চাকুরীর পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে এটাতো প্রাথমিকের মডেল টেস্ট পরীক্ষা। এটা নিয়ে এত মাতামাতির কিছু নেই, কাজ করলে ভুল হবে, আর এটাও একটা পরীক্ষা। একটু রস কস দিয়ে লেখেন।  
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান বলেন, এটা অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। উনি যেহেতু পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সে হিসেবে এর দায়ভার তাকেই  নিতে হবে। এধরণের ভুলের কারণ আমি তার কাছে জানতে চেয়েছি।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 2453076298033322290

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item