কিশোরগঞ্জে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ২৫০ শিক্ষকের মানবেতর জীবন যাপন

মোঃ শামীম হোসেন (বাবু)কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৭ বছর ধরে  এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।  এসব শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষক ১৫ থেকে ১৭ বছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ওই সব প্রতিষ্টানের শিক্ষককরা প্রহর গুনছেন কবে তাদের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত  করা হবে সেই আশায়। মনোরম পরিবেশ ও মেধাবী শিক্ষক দিয়ে সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সরকারী অনুদান না পেয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জে ৯ টি কলেজ, ১০ টি স্কুল ও ৪ টি মাদ্রাসা এখোনো এমপিওভুক্ত হয়নি। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষকরা বেতনভাতা পাচ্ছেননা।এমপিওভুক্তর তালিকায় অপেক্ষামান আছে উপজেলার সবচেয়ে পুরোনো মাগ্রড়া নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। ১৯৯৮ সালে এলাকার নারীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সমাজসেবক ইনছার আলী ৯০ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করেন। বিদ্যালয়টিতে মোট ছাত্রীর সংখ্যা ২৫০ জন। শিক্ষক আছেন ১০ জন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী ৪ জন। ওই বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালের জে এস সি পরীক্ষায় ১৫জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৫ জনই পাশ করেছে। বিদ্যালয়টি এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্তি না হওয়ায় শিক্ষকরা অনেক কষ্ঠে জীবনযাপন করছেন।
মাগ্রড়া নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে শিক্ষকরা বেতনের আশায় বুক বেঁধে আছেন। তারা অনেক কষ্ঠে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন চালাচ্চেন।
একই অবস্থা কিশোরগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত কিশোরগঞ্জ শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজের। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৪ সালে প্রয়াত বাবু দিনেশ চন্দ্র শীল এক একর  জমির উপর শিশুনিকেতন  দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সালে এটি শিশুনিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কলেজটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯৭ জন। শিক্ষক ১৪ জন । চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী ৪জন।
শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক জানান, কলেজটিতে এনটিআরসি থেকে ৭ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হলেও  এমপিওভুক্ত না হওয়ার তারা কোন বেতন ভাতা না পাওয়ার কারনে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
 কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এমপিওভুক্ত না হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজ,  মাগুড়া নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাগুড়া দোলাপাড়া আর্দশ নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এ্যাডভোকেট আনিছুল আরেফিন চৌধূরী নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয, কিশামত বীরচরন নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড়ভিটা স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ভেড়ভেড়ী মাঝাপাড়া স্কুল এ্যান্ড কলেজ, কালিকাপুর স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ধাইজান নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয়, মন্থনা উচ্চ বিদ্যালয়, বেগম খালেদা জিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজ, বাহাগিলি ঘাট উচ্চ বিদ্যালয়, নয়ানখাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, উত্তর দুরাকুটি উচ্চ বিদ্যালয়, কেল্লাবাড়ি বিদ্যানিকেতন, মুসা দাখিল মাদ্রাসা, চাঁদখানা বুড়িরহাট দাখিল মাদ্রাসা, সিঙ্গেরগাড়ী জহুরীয়া শরিফ,সিঙ্গেরগাড়ী পুর্বপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, বাড়ী মধুপুর শাহজালালিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, কিশোরগঞ্জ মহিলা মহাবিদ্যালয়, মাগুড়া কলেজ, বাহাগিলি মডেল কলেজ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম নুরুল আমিন বলেন, অনেক ভাল ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ার কারনে শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 4131886169253271213

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item