পীরগঞ্জে নিম্নমানের ড্রেন নির্মান কাজ রুখে দিলো জনতা!
https://www.obolokon24.com/2017/10/RANGPUR.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল-
রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) তত্ত্বাবধানে পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে ড্রেন নির্মানে শুরুতেই অনিয়ম-দুর্নীতি রুখে দিয়েছে জনতা। জনতার প্রতিরোধের কারণে নির্মিত ড্রেনের সিসি ঢালাই তুলতে বাধ্য হলো ঠিকাদার ও সওজ কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই ড্রেন এবং রাস্তার সংয়স্কার করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আবারো ড্রেনের গভীরতা খননের কাজ শুরু করা হয়েছে। রংপুর সওজ বিষয়টি হালকাভাবে দেখছে বলে জানা গেছে।
রংপুর সওজ সুত্রে জানা গেছে, রংপুর সওজ’র অধীনে ‘সাদুল¬াপুর-পীরগঞ্জ-নবাবগঞ্জ’ সড়কে পীরগঞ্জের ফলিরবিল বাজার থেকে গাইবান্ধার সাদুল¬াপুর পর্যন্ত উভয়পাশে বর্ধিতকরন, কার্পেটিং ও ড্রেন নির্মানের কাজ রানা বিল্ডার্স লিঃ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পায়। এতে প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪ কি. মি সড়কে কাজ করা হবে। এরমধ্যে ফলিরবিলে ৩’শ ৪০ মিটার এবং পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে ৯’শ মিটার ড্রেন নির্মান কাজের শুরুতেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ফলিরবিলে ড্রেন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগে সময় স্থানীয় জনতা তা আটকে দেয়। অপরদিকে ৩/৪ দিন ধরে পীরগঞ্জে সদরে ড্রেন নির্মানের জন্য ৪ ফুট প্রশস্ত ও প্রায় ৪ ফুট গভীর খননের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু তড়িঘড়ি করে রোলার বা দুরমুজ না করেই ড্রেনের নীচে (বেজ) প্রায় ৫০ ফুট স্থানে সিসি ঢালাই করা হয়। এ সময় স্থানীয় জনতা নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার এবং গভীরতা কম হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ এনে পৌর কাউন্সিলর, রাজনীতিবিদসহ সুশীল সমাজের কাছে আবেদন করে। গত সোমবার বিষয়টি অনেকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ড্রেন নির্মানের দুর্নীতির বিষয়টি ভাইরাল হয়ে পড়ে। পৌর কাউন্সিলর সাইফুল আজাদ, আশরাফুল আলমসহ ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এর প্রতিবাদ করে। উপজেলা জাপার সহসভাপতি নোমান ইকবাল খসরু বলেন, অভিযোগের পর ঠিকাদারের লোকজন সোমবার রাতেই রড় এবং ঢালাইগুলো ভেঙ্গে ফেলতে শুরু করে। আবারো লোকজন তাদেরকে বাঁধা দিলে তা স্থগিত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রংপুর সওজ’র পক্ষ থেকে এক কর্মকর্তা এসে উপস্থিত জনতাকে শান্ত করে সিসি ঢালাই ভাঙ্গার পর আবারো ১ ফুট গভীর করে খনন করার নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। পীরগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল আজাদ বলেন, জনগণের অভিযোগ পেয়ে আমি ড্রেনের কাজ দেখে বিষ্মিত হই। কারণ ইতিপূর্বে রাস্তার উত্তরে যে ড্রেনটি নির্মিত হয়েছে, সেটির গভীরতা অনেক বেশী। আর নতুন করে শুরু করা ড্রেনটির গভীরতা অনেক কম। পাশাপাশি চিকন রড, নিম্নমানের সিমেন্ট ব্যবহার করে সিসি ঢালাই করা হয়েছে। এমনকি সিসি ঢালাইয়ে নীচে রোলার বা দুরমুজ করা হয়নি। তড়িঘড়ি করে কাজ করায় জনমনে সন্দেহ হওয়ায় এর প্রতিবাদ শুরু হয়। একপর্যায়ে ঠিকাদার ও সওজ কর্তৃপক্ষ সিসিঢালাই ভেঙ্গে ফেলতে বাধ্য হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আখতার হোসেন বলেন, ড্রেনের গভীরতায় লেভেল ঠিক ছিল না। তাই আবারো ১ ফুট গভীর করে খনন করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ঠিকাদাররা জানায়, ৯’শ মিটার ড্রেনে ১ ফুট কম গভীর করায় ঠিকাদার ও সওজ কর্তৃপক্ষ এর লভ্যাংশ ভাগাভাগি করে নিতো। স্থানীয় সচেতন জনতা তা বুঝতে পেরে ওই দুর্নীতি রুখে দিয়েছেন। কাজটির তদারকি কর্মকর্তা সওজ’র উপসহকারী প্রকৌশলী এখলাছ হোসেন বলেন, আউটলেট (পানি বের হওয়ার পথ) উচু থাকায় সিসি ঢালাইটা ভেঙ্গে তুলে ফেলে লেভেল ঠিক করা হচ্ছে। এখন আবারো গভীরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এর আগে ফলিরবিলে ঢালাইয়ের উপকরণ মিশ্রনের অভিযোগে লোকজন কাজ বন্ধ করেছিল। পরে তাদেরকে বোঝানো হয়েছে। উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, উপজেলা সদরে ৯’শ মিটার ড্রেনটির গভীরতা সর্বনিম্ন ১ মিটার (৩ ফুটের বেশী) থেকে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ২ মিটার (প্রায় ৫ ফুট) গভীর হবে। নির্মিতব্য ড্রেনের লেভেল ঠিক না থাকায় সি.সি ঢালাই তুলে ফেলা হচ্ছে। ঢালাইটি তুলে না ফেললে পানি আটকে পড়তো। এটি তেমন কোন বিষয় নয়। অপরদিকে সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুকুল আলমকে তার সরকারী মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) তত্ত্বাবধানে পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে ড্রেন নির্মানে শুরুতেই অনিয়ম-দুর্নীতি রুখে দিয়েছে জনতা। জনতার প্রতিরোধের কারণে নির্মিত ড্রেনের সিসি ঢালাই তুলতে বাধ্য হলো ঠিকাদার ও সওজ কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই ড্রেন এবং রাস্তার সংয়স্কার করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আবারো ড্রেনের গভীরতা খননের কাজ শুরু করা হয়েছে। রংপুর সওজ বিষয়টি হালকাভাবে দেখছে বলে জানা গেছে।
রংপুর সওজ সুত্রে জানা গেছে, রংপুর সওজ’র অধীনে ‘সাদুল¬াপুর-পীরগঞ্জ-নবাবগঞ্জ’ সড়কে পীরগঞ্জের ফলিরবিল বাজার থেকে গাইবান্ধার সাদুল¬াপুর পর্যন্ত উভয়পাশে বর্ধিতকরন, কার্পেটিং ও ড্রেন নির্মানের কাজ রানা বিল্ডার্স লিঃ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পায়। এতে প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪ কি. মি সড়কে কাজ করা হবে। এরমধ্যে ফলিরবিলে ৩’শ ৪০ মিটার এবং পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে ৯’শ মিটার ড্রেন নির্মান কাজের শুরুতেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ফলিরবিলে ড্রেন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগে সময় স্থানীয় জনতা তা আটকে দেয়। অপরদিকে ৩/৪ দিন ধরে পীরগঞ্জে সদরে ড্রেন নির্মানের জন্য ৪ ফুট প্রশস্ত ও প্রায় ৪ ফুট গভীর খননের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু তড়িঘড়ি করে রোলার বা দুরমুজ না করেই ড্রেনের নীচে (বেজ) প্রায় ৫০ ফুট স্থানে সিসি ঢালাই করা হয়। এ সময় স্থানীয় জনতা নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার এবং গভীরতা কম হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ এনে পৌর কাউন্সিলর, রাজনীতিবিদসহ সুশীল সমাজের কাছে আবেদন করে। গত সোমবার বিষয়টি অনেকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ড্রেন নির্মানের দুর্নীতির বিষয়টি ভাইরাল হয়ে পড়ে। পৌর কাউন্সিলর সাইফুল আজাদ, আশরাফুল আলমসহ ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এর প্রতিবাদ করে। উপজেলা জাপার সহসভাপতি নোমান ইকবাল খসরু বলেন, অভিযোগের পর ঠিকাদারের লোকজন সোমবার রাতেই রড় এবং ঢালাইগুলো ভেঙ্গে ফেলতে শুরু করে। আবারো লোকজন তাদেরকে বাঁধা দিলে তা স্থগিত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রংপুর সওজ’র পক্ষ থেকে এক কর্মকর্তা এসে উপস্থিত জনতাকে শান্ত করে সিসি ঢালাই ভাঙ্গার পর আবারো ১ ফুট গভীর করে খনন করার নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। পীরগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল আজাদ বলেন, জনগণের অভিযোগ পেয়ে আমি ড্রেনের কাজ দেখে বিষ্মিত হই। কারণ ইতিপূর্বে রাস্তার উত্তরে যে ড্রেনটি নির্মিত হয়েছে, সেটির গভীরতা অনেক বেশী। আর নতুন করে শুরু করা ড্রেনটির গভীরতা অনেক কম। পাশাপাশি চিকন রড, নিম্নমানের সিমেন্ট ব্যবহার করে সিসি ঢালাই করা হয়েছে। এমনকি সিসি ঢালাইয়ে নীচে রোলার বা দুরমুজ করা হয়নি। তড়িঘড়ি করে কাজ করায় জনমনে সন্দেহ হওয়ায় এর প্রতিবাদ শুরু হয়। একপর্যায়ে ঠিকাদার ও সওজ কর্তৃপক্ষ সিসিঢালাই ভেঙ্গে ফেলতে বাধ্য হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আখতার হোসেন বলেন, ড্রেনের গভীরতায় লেভেল ঠিক ছিল না। তাই আবারো ১ ফুট গভীর করে খনন করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ঠিকাদাররা জানায়, ৯’শ মিটার ড্রেনে ১ ফুট কম গভীর করায় ঠিকাদার ও সওজ কর্তৃপক্ষ এর লভ্যাংশ ভাগাভাগি করে নিতো। স্থানীয় সচেতন জনতা তা বুঝতে পেরে ওই দুর্নীতি রুখে দিয়েছেন। কাজটির তদারকি কর্মকর্তা সওজ’র উপসহকারী প্রকৌশলী এখলাছ হোসেন বলেন, আউটলেট (পানি বের হওয়ার পথ) উচু থাকায় সিসি ঢালাইটা ভেঙ্গে তুলে ফেলে লেভেল ঠিক করা হচ্ছে। এখন আবারো গভীরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এর আগে ফলিরবিলে ঢালাইয়ের উপকরণ মিশ্রনের অভিযোগে লোকজন কাজ বন্ধ করেছিল। পরে তাদেরকে বোঝানো হয়েছে। উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, উপজেলা সদরে ৯’শ মিটার ড্রেনটির গভীরতা সর্বনিম্ন ১ মিটার (৩ ফুটের বেশী) থেকে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ২ মিটার (প্রায় ৫ ফুট) গভীর হবে। নির্মিতব্য ড্রেনের লেভেল ঠিক না থাকায় সি.সি ঢালাই তুলে ফেলা হচ্ছে। ঢালাইটি তুলে না ফেললে পানি আটকে পড়তো। এটি তেমন কোন বিষয় নয়। অপরদিকে সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুকুল আলমকে তার সরকারী মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।