সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ সুপার ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে চিঠি


ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৭ সেপ্টেম্বর॥
পশ্চিমাঞ্চলের নীলফামারী সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান ও সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনকে ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকী দেয়া হয়েছে। খামের ভেতর চিঠির সঙ্গে প্রতিকী কাফনের কাপড় দেয়া হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা অথবা সৈয়দপুর বেঙ্গল থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
সুত্রমতে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ওই চিঠি পুলিশ সুপারের হস্তগত হয়। একই চিঠিতেই সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনকে পুলিশ সুপারের সঙ্গে প্রাণনাশের হুমকী দেয়া হয়েছে। 
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টিকে প্রথমত গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু এর আদ্যোপ্রান্ত পড়ে মনে হয়েছে, এটি পরিকল্পিত। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
অপর দিকে সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি জানান বিষয়টি শুনেছি। আমি ঢাকায় রয়েছি। সৈয়দপুর ফিরে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। 

অজ্ঞাত ব্যক্তির লেখা ওই চিঠিতে সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমানকে উদ্যেশ্য করে বলা হয় “তোর দিন শেষ, সাবধান, তোর মৃত্যু আমার হাতে, কেউ তোকে রক্ষা করতে পারবে না। সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের সহযোগিতায় রেল পুলিশ বাবুল নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে ঈদ-পরবর্তী সময়ে কালোবাজারে রেলের টিকিট বিক্রি করা হয়। এ থেকে তুমি  অনেক লাভবান হয়েছ। চেয়ারম্যানের মৃত্যুও আমার হাতে লেখা। আমি তোকে মারব। তোর বাসভবন থেকে বের হওয়ার সময় গ্রেনেড মেরে তোর গাড়ি উড়িয়ে দেব।” 

এ ছাড়া ওই চিঠিতে জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতার নাম উল্লে¬খ করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন নাশকতা মামলার আসামীর নামও রয়েছে। দৈনিক নয়া দিগন্তের স্থানীয় প্রতিনিধির নামও উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে। বলা হয়েছে ওরা চিঠি লেখককে সহযোগিতা করছে। 
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর বেঙ্গল থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, অফিসিয়ালভাবে অবগত হয়নি। তবে মানুষজনের মুখে মুখে এমন কথা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে চিঠি প্রেরণকারী হুমকীদাতাকে খুঁজে বের করার চেস্টা করা হবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ওসি এ,কে,এম লুৎফর রহমান বলেন, হুমকীর চিঠির পর সৈয়দপুর রেলস্টেশন ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিরাপক্তা জোড়দার করা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7984878071420298432

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item