আন্তর্জাতিক চাপে ভীত নয় মিয়ানমার : সু চি
https://www.obolokon24.com/2017/09/rohinga_36.html
ডেস্ক-
আন্তর্জাতিক চাপে ভীত নয় মিয়ানমার। মিয়ানমার সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। শান্তি না আসা পর্যন্ত সেনা অভিযান চলবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে সু চি এ কথা বলেন। তার ভাষণ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
মিয়ানমারের রাখাইনে সবশেষ সহিংসতা শুরুর পর এই প্রথম প্রকাশ্যে বক্তব্য দিলেন সু চি। রাখাইনে চলমান দমন-পীড়নের মুখে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটে এত দিন নীরব থাকায় সমালোচিত হচ্ছিলেন সু চি।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী তার ভাষণে বলেন, রাখাইন সহিংসতায় সব মানুষের দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করেন তিনি।
সু চি বলেন, ‘রাখাইন থেকে মুসলিমরা কেন পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে চাই।’
বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের সত্যাসত্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া যে কোনো সময় শুরুর ব্যাপারে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানান সু চি।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর বলেন, ‘আমরা শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এনএলডি নেত্রী বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না।’
অন্যকে দোষারোপ করা বা দায়িত্ব এড়ানো মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্য নয় উল্লেখ করে সু চি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বেআইনি সহিংসতার নিন্দা জানাই।’
রাখাইন সংকট প্রসঙ্গে সু চি বলেন, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আছে। তাদের সব কথাই শুনতে হবে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অভিযোগগুলো যে তথ্য-প্রমাণনির্ভর, তা নিশ্চিত করতে হবে।
পরিস্থিতি দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাখাইন পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন সু চি। এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বলেছেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তার সরকার কাজ করবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ভীত নয় বলে উল্লেখ করেন সু চি। তিনি বলেন, মিয়ানমার একটি নবীন ও ভঙ্গুর দেশ। তারা অনেক সমস্যা মোকাবিলা করছেন। সব সমস্যাই মোকাবিলা করতে হবে। কিছু সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না।
গত ২৫ আগস্টে রাখাইন রাজ্যে একটি পুলিশ ক্যাম্পে হামলার পর সামরিক অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। অভিযানে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় বাড়ি।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম। প্রতিদিনই নতুন করে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছে, সেনাবাহিনী রাখাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, লোকজনকে হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিমদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।
আন্তর্জাতিক চাপে ভীত নয় মিয়ানমার। মিয়ানমার সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। শান্তি না আসা পর্যন্ত সেনা অভিযান চলবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে সু চি এ কথা বলেন। তার ভাষণ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
মিয়ানমারের রাখাইনে সবশেষ সহিংসতা শুরুর পর এই প্রথম প্রকাশ্যে বক্তব্য দিলেন সু চি। রাখাইনে চলমান দমন-পীড়নের মুখে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটে এত দিন নীরব থাকায় সমালোচিত হচ্ছিলেন সু চি।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী তার ভাষণে বলেন, রাখাইন সহিংসতায় সব মানুষের দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করেন তিনি।
সু চি বলেন, ‘রাখাইন থেকে মুসলিমরা কেন পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে চাই।’
বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের সত্যাসত্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া যে কোনো সময় শুরুর ব্যাপারে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানান সু চি।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর বলেন, ‘আমরা শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এনএলডি নেত্রী বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না।’
অন্যকে দোষারোপ করা বা দায়িত্ব এড়ানো মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্য নয় উল্লেখ করে সু চি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বেআইনি সহিংসতার নিন্দা জানাই।’
রাখাইন সংকট প্রসঙ্গে সু চি বলেন, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আছে। তাদের সব কথাই শুনতে হবে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অভিযোগগুলো যে তথ্য-প্রমাণনির্ভর, তা নিশ্চিত করতে হবে।
পরিস্থিতি দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাখাইন পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন সু চি। এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বলেছেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তার সরকার কাজ করবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ভীত নয় বলে উল্লেখ করেন সু চি। তিনি বলেন, মিয়ানমার একটি নবীন ও ভঙ্গুর দেশ। তারা অনেক সমস্যা মোকাবিলা করছেন। সব সমস্যাই মোকাবিলা করতে হবে। কিছু সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না।
গত ২৫ আগস্টে রাখাইন রাজ্যে একটি পুলিশ ক্যাম্পে হামলার পর সামরিক অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। অভিযানে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় বাড়ি।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম। প্রতিদিনই নতুন করে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছে, সেনাবাহিনী রাখাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, লোকজনকে হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিমদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।