শালিসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো বাবা!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল, পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে ঃ

পীরগঞ্জে ছেলের শ্বশুরবাড়ীতে শালিসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো বাবা আলম মিয়া (৪৫)। বুধবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার মিল্কী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
শালিস, এলাকাবাসী ও পারিবারিক সুত্র জানায়, উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের ছোট পলাশবাড়ীর আলম মিয়ার ছেলে মিলন মিয়ার (২১) সাথে প্রায় ৩ বছর আগে ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের মিল্কী গ্রামের সাইদুল ইসলামের কন্যা শাহাজাদীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা দু’জনই ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরী করছে। গার্মেন্ট থেকে পাওয়া বেতনের ৩০ হাজার টাকা শাহাজাদী তার বাবার বাড়ীতে পাঠালে স্বামী মিলনের সাথে বিরোধ হয়। সম্প্রতি এ নিয়ে দু’বেয়াই মিলন ও শাহাজাদীর বাবা ঢাকায় মারামারি করে। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বুধবার সন্ধ্যায় কুমেদপুর ইউপি’র সদস্য সাজু মিয়া, বাবু মিয়া ও মহিলা ইউপি সদস্যের স্বামী ইলিয়াছ হোসেনকে সাথে নিয়ে আলম মিয়া তার বেয়াইয়ের বাড়ী মিল্কী গ্রামে আসে। শালিসের আগেই শাহাজাদীর মা শেফালী বেগম তার বেয়াই আলম মিয়াকে মারধরের পর টানাহেচড়া করে বলে জানা গেছে। পরে ভেন্ডাবাড়ী ইউপির সদস্য- মানিক মিয়া, রাশেদুল ইসলাম, শাহজাহান সাজু ও রেজাউল করিমসহ গ্রামবাসী শালিসে বসে। এ সময় মিলনের বাবা আলম মিয়া চেয়ার থেকে ঢলে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ভেন্ডাবাড়ীহাটে ডাঃ মোকাররম হোসেনের কাছে নিয়ে গেলে মৃত্যু ঘোষণা করা হয় বলে মিলন মিয়া জানায়। এ ব্যাপারে ভেন্ডাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। দু’বেয়াইয়ের মাঝে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আমার পরিষদের ৪ সদস্য শালিসে বসে। এরপর বেয়াই আলম মিয়া চেয়ার থেকে পড়ে যান বলে শুনেছি। ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সুশান্ত কুমার বলেন, সম্ভবতঃ আলম মিয়া হার্ট এ্যাটাক করে মারা গেছে। লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। পোষ্ট মর্টেমের রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহতের ছেলে মিলন বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছে। ওই ঘটনার পর থেকেই মিলনের শ্বশুর পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 3619482772920433912

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item