(ফলো আপ)-৩য় শ্রেণির ছাত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবশেষে ধর্ষকসহ ১৪ মাতাব্বরের বিরুদ্ধে মামলা
https://www.obolokon24.com/2017/09/rangpur43.html
ফজলুর রহমান, পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগাছায় ৩য় শ্রেণিতে পড়–য়া অসহায় এক স্কুল ছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় অবশেষে ধর্ষকসহ এলাকার ১৪ জন মাতাব্বরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত বুধবার রাতে ধর্ষিতার পিতা আজিজুল হক বাদী হয়ে ধর্ষক মাজেদুল ইসলামসহ ১৪ জনের নামে এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ওই ছাত্রীর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখায় পরিবারটি আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি।
জানা গেছে, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের হরিদেব চাপড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর বখাটে ছেলে মাজেদুল ইসলাম (২০) প্রায় ৭ মাস পূর্বে একই গ্রামের দিনমজুর আজিজুল হকের মেয়ে স্থানীয় বালারদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী বিউটি বেগম (ছদ্ম নাম) কে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এরপর ধর্ষক মাজেদুল ইসলাম ধর্ষনের কথা কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর ডান হাতের কজি¦র উপরে ধারালো ছুরি দিয়ে যখম করে। সম্প্রতি ওই স্কুল ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। পরে বিউটি বেগম ঘটনাটি তার বাবা-মা সহ স্কুল শিক্ষকদের জানান। গত এক মাস পূর্বে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি শালিসী বৈঠকে ধর্ষক মাজেদুল ইসলাম ধর্ষনের কথা স্বীকার করে ও তার পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে মাজেদুলের সাথে বিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু গত এক মাসেও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটিকে বিয়ে না করে ধর্ষক মাজেদুলের পরিবার সময় ক্ষেপন করে এবং একটি প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এমনকি প্রভাবশালীদের ভয়ে পরিবারটি বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে। পরে ঘটনাটি পীরগাছা থানা পুলিশ খবর পেয়ে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শালিসী বৈঠকে উপস্থিত থাকা সাবেক ইউপি সদস্যসহ ১৩ মাতাব্বর ও ধর্ষক মাজেদুলের বিরুদ্ধে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান,ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা পালাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পীরগাছা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘটনাটির আলামত নষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগে ১৩ মাতাব্বরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ভিকটিমের সাথে কথা বললে সে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মাজেদুলেই আমার পেটের সন্তানের পিতা। আমি আমার গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি জানাই।
রংপুরের পীরগাছায় ৩য় শ্রেণিতে পড়–য়া অসহায় এক স্কুল ছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় অবশেষে ধর্ষকসহ এলাকার ১৪ জন মাতাব্বরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত বুধবার রাতে ধর্ষিতার পিতা আজিজুল হক বাদী হয়ে ধর্ষক মাজেদুল ইসলামসহ ১৪ জনের নামে এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ওই ছাত্রীর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখায় পরিবারটি আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি।
জানা গেছে, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের হরিদেব চাপড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর বখাটে ছেলে মাজেদুল ইসলাম (২০) প্রায় ৭ মাস পূর্বে একই গ্রামের দিনমজুর আজিজুল হকের মেয়ে স্থানীয় বালারদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী বিউটি বেগম (ছদ্ম নাম) কে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এরপর ধর্ষক মাজেদুল ইসলাম ধর্ষনের কথা কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর ডান হাতের কজি¦র উপরে ধারালো ছুরি দিয়ে যখম করে। সম্প্রতি ওই স্কুল ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। পরে বিউটি বেগম ঘটনাটি তার বাবা-মা সহ স্কুল শিক্ষকদের জানান। গত এক মাস পূর্বে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি শালিসী বৈঠকে ধর্ষক মাজেদুল ইসলাম ধর্ষনের কথা স্বীকার করে ও তার পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে মাজেদুলের সাথে বিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু গত এক মাসেও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটিকে বিয়ে না করে ধর্ষক মাজেদুলের পরিবার সময় ক্ষেপন করে এবং একটি প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এমনকি প্রভাবশালীদের ভয়ে পরিবারটি বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে। পরে ঘটনাটি পীরগাছা থানা পুলিশ খবর পেয়ে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শালিসী বৈঠকে উপস্থিত থাকা সাবেক ইউপি সদস্যসহ ১৩ মাতাব্বর ও ধর্ষক মাজেদুলের বিরুদ্ধে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান,ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা পালাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পীরগাছা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘটনাটির আলামত নষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগে ১৩ মাতাব্বরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ভিকটিমের সাথে কথা বললে সে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মাজেদুলেই আমার পেটের সন্তানের পিতা। আমি আমার গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি জানাই।