পঞ্চগড়ে ২য় শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করায় শিক্ষকের শাস্তি ১ লক্ষ ৬০ হাজার ।

সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড় প্রতিনিধি ঃ

২য় শ্রেণীর স্কুল পড়–য়া এক শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি গত ১২-০৯-২০১৭ ইং তারিখে পঞ্চগড় বোদা উপজেলার শালশিড়ি ইউনিয়নের ঝলই দামুকা পাড়ায় খারিজা ঝলই ভক্তরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে। গত মঙ্গলবার সরে জমিনে গিয়ে জানা গেছে ঐ গ্রামের জনৈক ব্যাক্তির মেয়ে শিশু ছাত্রীকে গত আগষ্ট মাসে খারিজা ঝলই ভক্তরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিজাম উদ্দীন  ধর্ষনের চেষ্টা সহ যৌন হয়রানি করে। শিশুটি খেলতে খেলতে ছোট ছোট কথায় জানায় শিক্ষক নিজাম উদ্দীন শিক্ষক রুমে ঝাড়– দেওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। শিশুটিকে নিজাম উদ্দীন একা পেয়ে তাকে ধর্ষন করার চেষ্টা চালায়  এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করে। শিশুটি চিৎকার করলে শিক্ষক শিশুটিকে ভয়  ভীতি দেখিয়ে  ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। শিশুটি তার মা মোছাঃ মর্জিনাকে কাঁদতে কাঁদতে ঘটনাটি খুলে বলে। শিশুটির মা বিষয়টি তার স্বামী কে জানালে তিনি ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী গিরেন্দ্র নাথ বর্মনকে বিষয়টি অবগত করেন। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য যৌন হয়রানীকারি সহকারি শিক্ষক নিজাম উদ্দীনকে আপোষ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয় কিন্তু ধর্ষক অস্বীকার করে। প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে আপোষ করার জন্য নিজাম উদ্দীনকে বৈঠকে ডাক দেয়, কিন্তু নিজাম উদ্দীন বৈঠকে উপস্থিত হয়নি। উপস্থিত না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক শিশুটির পরিবারকে পুনরায় আপোষের আশ^াস দেয়, কিন্তু আদৌ কোন সুরাহা পায়নি শিশুটি ও তার পরিবারের লোকজন। পরবর্তীতে শিশুটির অভিভাবকরা যৌন হয়রানিকারির ন্যায্য শাস্তির দাবিতে  স্কুল ম্যানেজিং কমিটির স্মরণাপন্ন হয়েও কোন সমাধানের পথ খুঁেজ না পেয়ে বর্তমান গরীব নাদিরার  বাবা  দিশে হারা । এলাকার সূত্রে জানাগেছে যৌন হয়রানীকারি নিজাম উদ্দীনের পক্ষে ঐ গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল আড়াল থেকে বিষয়টিকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার পায়তারা চালাচ্ছে।  এই বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও জমিদাতা মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন , আমরা ঘটনাটি শুনেছি  ঘটনার সত্যতা যাচাই করে সত্যতা পাওয়া গেলে আমরা ঐ অভিযুক্ত শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার করবো। ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক গিরেন্দ্র নাথ বর্মন মুঠো ফোনে জানায় আমরা শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, শিশুটি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু ইউসুফ ভুইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে বিষয়টি ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপোষ করা হয়েছে। আপোষের বিষয়টি আমাদের বোদা উপজেলার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অবগত আছেন। ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক প্রধান দু:খ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। তার মধ্যে এধরনের ঘটনাটি ঘটেছে। ভবিষ্যতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য ভর্তি করাবে কি না তা সন্দেহাতিত।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 7927441655491875429

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item