গ্রাম্য মাতববররা বাঁচতে দিল না আবেজনকে
https://www.obolokon24.com/2017/09/nilphamari_6.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৫ সেপ্টেম্বর॥
প্রতিপক্ষের হামলায় আহত গৃহবধু আবেজন বেগমকে(৩৫) সু-চিকিৎসা হতে বঞ্চিত করে বাঁচতে দিলোনা গ্রাম্য মাতব্বররা। বরং ওই গৃহবধু মার যাওয়ার পর ২০ হাজার টাকায় লাশ দাফনের চেস্টা চালায়। খবর পেয়ে ওই গৃহবধুর মৃত্যুর ২২ ঘন্টাপর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে আজ মঙ্গলবার জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত করেছে। নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের মাঝা ভেড়ভেড়ী মুতরাপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসী ও অভিযোগে জানা যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১৫ জুলাই প্রতিবেশি আবুল কালামের স্ত্রী কারিমা বেগমের সাথে একই গ্রামের দিনমজুর হামিদুল ইসলামের স্ত্রী আবেজন বেগমের বচসা হয়। বচসায় এক পর্যায়ে কারিনা ও তার স্বামী আবুল কালাম, ছেলে কাশেম আলী আবেজনকে বেদম মারপিট করে। এতে আবেজন গুরুত্ব আহত হয়। গ্রামবাসীর সহায়তার হামিদুল ইসলাম তার আহত স্ত্রী আবেজনকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরের দিন ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন মিমাংসার কথা বলে চিকিৎসা কনতে বাধা দিয়ে হাসপাতাল হতে জোড়পূর্বক চিকিৎসাধীন আবেজনকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। এরপর আবেজনের স্বামীর হাতে ৩ হাজার টাকা দিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা করতে চাপ দেয়। গৃহবধু আবেজন পুনরায় চরমভাবে অসুস্থ হলে তাকে ১৯ জুলাই পুনরায় নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রভাবশালীরা পুনরায় ২৩ জুলাই আবেজনকে বাড়িতে ফিরে নেয়।
আবেজনের স্বামী হামিদুল ইসলাম বলেন তারা সবাই মিলে আমার স্ত্রীকে শক্ত মারপিট করে। এতে আমার স্ত্রীর বুকে ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছিল। মেডিকেলের ইনজুরির খাঁতায় বুকে ও মাথায় আঘাতের কথা লেখা ছিল। কিন্তু ওয়ার্ড মেম্বার ও চেয়ারম্যান আমার স্ত্রীর সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে দেয়নি। এ অবস্থায় আসার স্ত্রী রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় মারা যায়। স্ত্রী মারা গেলে যারা আমার স্ত্রীকে মারধর করে তারা বাড়ি হতে পালিয়ে যায়। এরপর ইউপি মেম্বার রাতেই লাশ দাফনের জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি রাজি না হওয়ায় পরের দিন সকালে ইউপি চেয়ারম্যান এসে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে লাশ দাফনের জন্য চাপ দিতে থাকে। পড়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত আটটার দিকে এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আবেজনের স্বামী আরো জানায় এ ঘটনায় আমি কিশোরীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করে।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার জেলা মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়। রির্পোট পাওয়ার পর আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে পুটিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটনের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমন কি তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন চেয়ারম্যান যে ভাবে চেয়েছিল সেভাবে হয়নি।
অপর দিকে যারা আবেজনকে মারপিট করে আহত করেছিল তাদের খোঁজ করা হলে দেখা যায় তারা ঘরবাড়িতে তালা দিয়ে গাঁঢাকা দিয়েছে। ফলে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় গ্রামবাসী হামলাকারী পরিবার সহ এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে দায়ি করে তাদের বিচার দাবি করেছে।
প্রতিপক্ষের হামলায় আহত গৃহবধু আবেজন বেগমকে(৩৫) সু-চিকিৎসা হতে বঞ্চিত করে বাঁচতে দিলোনা গ্রাম্য মাতব্বররা। বরং ওই গৃহবধু মার যাওয়ার পর ২০ হাজার টাকায় লাশ দাফনের চেস্টা চালায়। খবর পেয়ে ওই গৃহবধুর মৃত্যুর ২২ ঘন্টাপর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে আজ মঙ্গলবার জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত করেছে। নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের মাঝা ভেড়ভেড়ী মুতরাপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসী ও অভিযোগে জানা যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১৫ জুলাই প্রতিবেশি আবুল কালামের স্ত্রী কারিমা বেগমের সাথে একই গ্রামের দিনমজুর হামিদুল ইসলামের স্ত্রী আবেজন বেগমের বচসা হয়। বচসায় এক পর্যায়ে কারিনা ও তার স্বামী আবুল কালাম, ছেলে কাশেম আলী আবেজনকে বেদম মারপিট করে। এতে আবেজন গুরুত্ব আহত হয়। গ্রামবাসীর সহায়তার হামিদুল ইসলাম তার আহত স্ত্রী আবেজনকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরের দিন ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন মিমাংসার কথা বলে চিকিৎসা কনতে বাধা দিয়ে হাসপাতাল হতে জোড়পূর্বক চিকিৎসাধীন আবেজনকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। এরপর আবেজনের স্বামীর হাতে ৩ হাজার টাকা দিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা করতে চাপ দেয়। গৃহবধু আবেজন পুনরায় চরমভাবে অসুস্থ হলে তাকে ১৯ জুলাই পুনরায় নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রভাবশালীরা পুনরায় ২৩ জুলাই আবেজনকে বাড়িতে ফিরে নেয়।
আবেজনের স্বামী হামিদুল ইসলাম বলেন তারা সবাই মিলে আমার স্ত্রীকে শক্ত মারপিট করে। এতে আমার স্ত্রীর বুকে ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছিল। মেডিকেলের ইনজুরির খাঁতায় বুকে ও মাথায় আঘাতের কথা লেখা ছিল। কিন্তু ওয়ার্ড মেম্বার ও চেয়ারম্যান আমার স্ত্রীর সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে দেয়নি। এ অবস্থায় আসার স্ত্রী রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় মারা যায়। স্ত্রী মারা গেলে যারা আমার স্ত্রীকে মারধর করে তারা বাড়ি হতে পালিয়ে যায়। এরপর ইউপি মেম্বার রাতেই লাশ দাফনের জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি রাজি না হওয়ায় পরের দিন সকালে ইউপি চেয়ারম্যান এসে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে লাশ দাফনের জন্য চাপ দিতে থাকে। পড়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত আটটার দিকে এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আবেজনের স্বামী আরো জানায় এ ঘটনায় আমি কিশোরীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করে।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার জেলা মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়। রির্পোট পাওয়ার পর আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে পুটিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটনের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমন কি তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন চেয়ারম্যান যে ভাবে চেয়েছিল সেভাবে হয়নি।
অপর দিকে যারা আবেজনকে মারপিট করে আহত করেছিল তাদের খোঁজ করা হলে দেখা যায় তারা ঘরবাড়িতে তালা দিয়ে গাঁঢাকা দিয়েছে। ফলে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় গ্রামবাসী হামলাকারী পরিবার সহ এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে দায়ি করে তাদের বিচার দাবি করেছে।