কিশোরগঞ্জে বিষ্টার দুর্ঘন্ধে অতিষ্ট দুই গ্রামবাসী


শামীম হোসেন বাবু কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি॥
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের দুইটি গ্রাম দক্ষিণ সিঙ্গেরগাড়ি বালাপাড়া ও সুরঙ্গের বাজার । গ্রাম দুইটির আবাসিক এলাকায় মধ্যেখানে গড়ে তোলা হয়েছে কাজী পোল্ট্রি ফার্মের কম্পোস্ট প্লান। এই ফার্মের ব্রয়লার মুরগীর বিষ্ঠার (মল) র্দূগন্ধে গ্রামবাসী অতিষ্ট ও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে গ্রামবাসী। ফার্মের ময়লা আবর্জনায় গ্রামের পুকুরের পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে। কালো রং ধারন করায় সেই পুকুরের পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা মাছি। বিষ্ঠার কারণে মশা-মাছির উপদ্রব সহ মারাত্বকভাবে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ফলে মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে তারা।

আজ বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর অভিযোগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই দুই গ্রামের মাঝে দেড় বছর হয়  কাজী ফার্ম কম্পস্ট প্লান গড়ে তুলেছে। এখানে মুরগির খামারে  ডিম উৎপাদন করা হচ্ছে। এ ফার্ম থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমান বিষ্ঠা বের করা হয়। এসব বিষ্ঠা ফার্মের নির্দিষ্ট স্থানে রাখার ব্যবস্থা না থাকায় রাতের আঁধারে খোলা জায়গায় যত্রতত্র ফেলে রাখছে কর্তৃপক্ষ। এসব বিষ্ঠা উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখার ফলে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে এর র্দুগন্ধ। বিষ্ঠার গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। বিষ্ঠার গন্ধে ইতোমধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন অনেক নারী-পুরুষ-শিশু।
দক্ষিণ সিঙ্গেরগাড়ি বালাপাড়া এলাকার মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ছামিদা বেগম বলেন, বিষ্ঠার গন্ধে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। এতে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বমি করতে করতে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। বালাপাড়া এলাকার মজিদুল ইসলাম জানান, বিষ্ঠার গন্ধে এলাকার বাতাস দুষিত হয়ে পড়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাসে  কষ্ট হয়। খেতে বসলে র্দুগন্ধে খাবার গলা দিয়ে খাবার নামে না। বেড়েছে মশা-মাছির উৎপাত। মাছি বিস্তার ঘটাচ্ছে জীবানুর। জীবানু ও দূষিত বাতাসে অনেক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
ওই এলাকার পল্লী চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম জানান, দক্ষিণ সিঙ্গেরগাড়ীর ফার্ম এলাকা থেকে প্রতিদিন চার/পাঁচজন করে শিশু পাতলা পায়খানা, বমি ও মাথা ব্যাথার চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছে। বিষ্টার র্দুগন্ধে ওই এলাকার খিলালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও দক্ষিণ সিঙ্গেরগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাশে মনোনিবেশ করতে পারছে না। পূর্ব দিক থেকে যখন বাতাস পশ্চিমের দিকে ধাবিত হয় ঠিক তখন আর ক্লাশের শিক্ষার্থীরা ক্লাশে থাকতে পারেনা।
 মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শিহাব বলেন, আমি কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার মুরগীর বিষ্ঠা খোলা জায়গায় ফেলতে নিষেধ করেছি। কিন্তু আমার কথা তারা কানে নেয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
ওই ফার্মের ক¤েপাষ্ট শাখার ইনচার্জ মঞ্জুর আলম বলেন, প্রতিদিন যে পরিমান বিষ্ঠা বের হয় তা দিয়ে ক¤েপাষ্ট সার তৈরী করে বাজার জাত করা হচ্ছে। তবে খোলা জায়গায় বিষ্ঠা ফেলানোর কারনে এলাকায় কিছুটা গন্ধ হচ্ছে। তবে র্দুগন্ধ নিরসনে প্রতি সপ্তাহে ফার্মের লোক দিয়ে ¯েপ্র করা হয়। মাছির উৎপাত কমাতে প্রতিটি বাড়ীতে মাছি মাড়ার ঔষধ দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, আমাদের বিভিন্ন বয়লারের ফার্ম থেকে প্রতিদিন ৪৫ টন মুরগীর বিষ্ঠা বের হয়। আমাদের কম্পোস প্লানে ৪০ টন রেখে বাকী ৫ টন এলাকার কলম আলী নামে এক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করা হয়। কলম আলী ওই ৫ টন বিষ্ঠা বাইরে ফেলে রাখায় এ অবস্থা হয়েছে।
কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা পাবলিক হেলথ  কর্মকর্তা আব্দুল গফুর তালুকদারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম বলেন, আমি কাজী ফার্মের ওই কম্পোষ্ট প্লানের কারখানার গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে দুর্গন্ধের কারনে আমি নিজেই অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4899722496880120421

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item