কিশোরগঞ্জে লোহার রড দিয়ে মাকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে পাষন্ড ছেলেরা

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
মায়ের এক ধার দুধের দাম কাটিয়া গাঁেয়র চাম পাপস বানাইলে  ঋনের শোধ হবেনা এমন দরদী ভবে কেউ হবেনা আমার গো । সেই দরদী বৃদ্ধা  মাকে লোহার রট দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পা ভেঙ্গে দিয়েছে আপন ছেলে ও ছেলের বউরা । এসময় ছোট ছেলে মাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাঁকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পাষন্ডরা।
ঘটনাটি ঘেেটছে গতকাল রবিবার বিকালে বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিন বড়ভিটা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। এলাকাবাসী  আশঙ্খাজনক অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে । এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধা মা বাদি হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় ৫ জনের নামে অভিযোগ  দায়ের করেছে।
সরেজমিন ও থানার লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, দক্ষিন বড়ভিটা গ্রামের মৃত্যু জহির উদ্দিনের স্ত্রী হাছনা বেগম (৫৫)। জহির উদ্দিন  কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এম,এল এস এস পদে চাকুরী করতেন। চাকুরী করা অবস্থায় গত ২০১৬ সালের ১ লা জুন তিনি মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর চাকুরীর পেনসন বাবদ তার স্ত্রী ১৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে ৪ ছেলের মধ্যে দুই লাখ ৫০ হাজার করে মোট ১০ লাখ টাকা ভাগ করে দেন। বাকী ৬ লাখ টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকা তার একমাত্র মেয়ে শারমিনের বিয়ের জন্য খরচ করে বাকী দুই লাখ টাকা নিজের কাছে রেখে দেন। ঘটনার এক মাস আগে তৃতীয় পুত্র নাজমুল হোসেন ইজিবাইক কেনার নাম করে তার মাকে ফুসলিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার করে নেয়। কিন্তু নাজমুল টাকা নেওয়ার পর অটো না কিনে সেই টাকা তিন ভাইয়ের মধ্যে ৫০ হাজার করে ভাগ করে নেন। পরে তারা তাঁর মাকে জানায়, তোমার টাকার কি দরকার আমরা ৫০ হাজার করে নিয়েছি বাকি ৫০ হাজার তোমার ছোট ছেলেকে দিয়ে দাও। বৃদ্ধা মা তাদের কথা না শুনে উক্ত টাকা ফেরৎ চাইলে বড় তিন ছেলে মিলে মাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে  বের করে দেয়। বৃদ্ধা মা ঘটনাটি এলাকাবাসীকে জানালে গতকাল রবিবার বড় তিন ছেলে হাসানুর রহমান, শাহিন আলম , নাজমুল হোসেন, ছেলের বউ পাখি বেগম ও মেীসুমি বেগম সহ বৃদ্ধা মাকে চুলের মুঠি ধরে নির্যাতন করে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয়। এসময় ছোট ছেলে বদিউজ্জামান মাকে রক্ষা করতে গেলে তাঁকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধা মা বাদী হয়ে ছেলে ও ছেলের বউসহ ৫ জনকে আসামী করে কিশোরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
বৃদ্ধা মা হাছনা বেগমের সাথে সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি এরকম ছেলে আমার গর্ভে ধারন করেছি এটা ভাবতে আমার ঘৃনা হচ্ছে। আমার বড় তিন ছেলে ও ছেলের বউরা টাকার কারনে আমার পা ভেঙ্গে দিয়েছে এবং তারা তাদের আপন ছোট ভাইকে নির্মমভাবে মেরেছে । াামি তাদের বিচার চাই।
বড় ছেলে হাসানুর , নাজমুল, ও শাহিনের সাথে কথা বলার জন্য তাদের বাড়িতে গেলে তারা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃদ্ধা হাছনা বেগম বাদী হয়ে ছেলে ও ছেলের বউসহ ৫ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দিয়েছে। থানায় মামলা গ্রহনের প্রস্ততি চলছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5339402917938804820

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item