মিরপুরের ‘জঙ্গি আস্তানা’য় দগ্ধ ৩ লাশ
https://www.obolokon24.com/2017/09/jmb.html
: ঢাকার মিরপুরে ঘিরে রাখা ‘জঙ্গি আস্তানায়’ বিস্ফোরণের ঘটনার পর সকাল থেকে তল্লাশি চালিয়ে এ পর্যন্ত ৩ জনের পোড়া লাশ পাওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।
এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান আজ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ৬ তলা ভবনটির নিচ থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৫ম তলায় পৌঁছেছি। জঙ্গি আবদুল্লাহ যে বাসায় ছিল তার একটি কক্ষ আমরা খুলেছি। সেখানে ৩টি পোড়া লাশ দেখা গেছে। নারী না পুরুষ তা বোঝা যাচ্ছে না।’
আবদুল্লাহ নামের সন্দেহভাজন ওই জঙ্গির সঙ্গে পরিবারের সদস্যসহ মোট ৭ জন পঞ্চম তলার ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন বলে আগের দিন র্যাবের পক্ষ থেকে ধারণা দেয়া হয়েছিল।
মুফতি মাহমুদ বলেন, ‘বাকি কক্ষগুলোতেও আমরা তল্লাশি চালাব। পরে আপনাদের আপডেট জানাতে পারব।’
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় সোমবার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ‘জেএমবির জঙ্গি’ দুই ভাইকে ড্রোন ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটকের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেদিন মধ্যরাতে মিরপুরে এই অভিযান শুরু করে র্যাব।
এর আগে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। আজ সকালে ওই ভবনে তল্লাশি শুরু করে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
র্যাব-৪-এর সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আউয়াল জানান, জঙ্গি আবদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। তার বাবা ইউসুফ আলী অনেক আগেই মারা গেছেন। ওই আস্তানায় আবদুল্লাহর সঙ্গে তার দুই স্ত্রী ফাতেমা ও নাসরিন ছিলেন। ছিল দুই শিশু ওসামা ও ওমর। সঙ্গে আবদুল্লাহর দুই সহযোগীও ছিলেন।
তিনি জানান, আবদুল্লাহর চুয়াডাঙ্গার বাড়ি থেকে তার বোন মেহেরুন্নেসা মেরিনাকে আটক করে র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আজও ওই আস্তানার আশপাশে কড়া অবস্থানে রয়েছে র্যাব। গাবতলীর দিক থেকে ওই এলাকায় যাওয়ার পথ বন্ধ রয়েছে।
আজ সকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।
জঙ্গি আস্তানাটি ঘিরে রাখার প্রায় ২৪ ঘণ্টার মাথায় গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বাড়িটিতে পরপর ৩টি বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়। বাড়ি থেকে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হয়।
বিস্ফোরণের পরে র্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, বাড়ির ভেতরে থাকা জঙ্গিরা নিজেরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মিরপুর মাজার রোডের বর্ধনবাড়ি এলাকার ‘কমল প্রভা’ নামের বাড়িটি ঘেরাও করে র্যাব। বাড়ির ৫ তলার একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গিদের অবস্থান র্যাব চিহ্নিত করে। পরে বাড়ির বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এক প্রবাসীর মালিকানাধীন ৬ তলা বাড়িটির ২৪টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৩টি ফ্ল্যাটের ৬৫ বাসিন্দাকে সোমবার রাতেই সরিয়ে নেয় র্যাব।