জলঢাকায় স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসার নামে নিয়োগ বানিজ্যর অভিযোগ

জলঢাকা প্রতিনিধিঃ
ঘর নাই জমি নাই এমনকি শিক্ষার্থীও নাই তবুও চলছে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসার নামে নিয়োগ বানিজ্য। এমন অভিযোগ করেছেন ঐ মাদরাসায় জমিদাতা মাহামুদ্দীনের ছেলে মাদরাসার বর্তমান সভাপতি আশরাফ আলী। ঘটনাটি জলঢাকা উপজেলার গুলমুণ্ডা ইউনিয়নের উত্তর চরভরাট এলাকায়। সরেজমিন ঐ এলাকা ঘুরে দেখা যায় ভাবনচুর উত্তর চরভরাট এম উদ্দীন স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসার নামে সাইনবোর্ড লাগানো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। ঐ এলাকার শিক্ষানুরাগী মাহামুদ্দিন ১৩/১১/১৯৮৫ সালে ঐ এবতেদায়ী মাদরাসার নামে ৪৪ শতক জমি দিয়ে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। যার দলিল নং ১৩৬০২/৮৫। কথা হয়

বর্তমান  সভাপতি প্রভাষক আশরাফ আলীর সাথে তিনি বলেন আমার বাবা এই এলাকার ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারের জন্য এই মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান এবতেদায়ী প্রধান আশরিফার নেতৃত্বে আরো ৪জন শিক্ষকসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যপক পরিসরে পরিচালনা করে স্বনামধন্য মাদরাসায় পরিনত করতে কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন আমার চাচাতো ভাই আমির উদ্দীন তার ছোটভাই আব্দুর রশীদ কে সভাপতি করে একই মাদরাসার নাম ব্যবহার করে আতিকুর রহমানকে এবতেদায়ী প্রধান করে আরো ৪জনকে নিয়োগ দিয়ে অর্থ বানিজ্য করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আমির উদ্দীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন নিয়োগে কোনপ্রকার আর্থিক লেনদেন হয় নাই। যারা শিক্ষক হিসেবে আছে তারা দীর্ঘদিন মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
২০১৬ সালে মাদরাসার ৬টি কক্ষ সহ বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য শিক্ষা অফিসে প্রদানের বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন তথ্য দিবার লাগে দেই।
ঘর, জমি ও শিক্ষার্থী নাই এবিষয়ে এবতেদায়ী প্রধান আতিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন নদী ভাঙ্গনের ফলে আমরা মাদরাসাটি মসজিদের কাছে নিয়ে এসে কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
মসজিদে নামায পড়তে আসা ঐ এলাকার মতিয়ার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এটা ফোরকানিয়া মাদরাসা।
একই এলাকার মহির উদ্দীন বলেন এম উদ্দীন স্বতন্ত্র মাদরাসাটি বাধের উপারে। এলাকার শিক্ষানুরাগী মাহামুদ্দিন ৪৪ শতক জমি দিয়ে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আরো বলেন উজান চরভরাট জামে মসজিদ সংলগ্ন ঘরটি মুঠো চাল দিয়ে পরিচালিত মক্তব। সেটি এম উদ্দীন স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা নয়।
অন্যদিকে আর এক সভাপতি আব্দুর রশীদ মাদরাসার নামে তার চাচা মাহামুদ্দিনের ৪৪ শতক জমি দান করার কথা স্বীকার করে বলেন তিনি তো মাদরাসার নামে জমি দান করেছে। তার সন্তানরা ২জন শিক্ষক ভাগ না পেয়ে হয়রানী করার এরকম করছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নিব। তিনি আরো বলেন জমির দলিল মুলে নির্দিষ্ট জায়গায় মাদরাসাটি না থাকলে সেটা মাদরাসা বলে বিবেচিত হবেনা।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5430859835271452583

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item