ডোমারে নদীতে ঘের দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ॥ আহত ২৮

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৪ সেপ্টেম্বর॥
বুড়িখোড়া নদীতে মাছের ঘের তৈরীকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৮ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নীলফামারী জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের সবুজপাড়া ও ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের শেওডগাড়ী গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আহতদের মধ্যে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ১৩ জন ও ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলো শেওটগাড়ী হাজিপাড়া গ্রামের রুবেল (২২), এজাউল (২৫), আমিনার (৩৫), শাহিনুল (২২), মঞ্জুরুল (১২), আমিনা বেগম (৪৫), রবিউল (২৫), জাহিদ (১৫), রায়হান (১৬), আবু বক্কর (৫৫), সুমন (২৫), আব্দুল খালেক (৪৫), ফজলুল হক (৪২), বেলাল (৪৪) ও  রবিউল (৩০) ও সবুজপাড়া গ্রামের নুরন্নবী (৪০), আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৫), আব্দুস সামাদ (৪০), আল-আমীন (৩৫), আলমগীর (৪২), আবু তালেব (৩৮), আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫), হোসেন আলী (৩৮), ও রঞ্জু (৩৬) সহ আরো অনেকে। আহতদের মধ্যে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল থেকে সবুজপাড়া গ্রামের হুসেন আলী ও আব্দুস সামাদকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে স্থানন্তর করা হয়। তাদের অবস্থা আশংকাজনক।
এলাকাবাসী জানায়, জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন এবং ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত বুড়িখোড়া নদী। আজ বৃহস্পতিবার সবুজপাড়া গ্রামের একটি মৎস চাষী সমিতির সভাপতি নূরন্নবী ইসলামের (৬০) নেতৃত্বে সমিতর সদস্যরা নদীতে বানা (ঘের) দিতে গেলে পাশর্^বর্তী ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের শেওটগাড়ি গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ মাস্টারের (৫০) নেতৃত্বে গ্রামবাসী  বাঁধা দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২৮জন আহত হন। খবর পেয়ে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সবুজপাড়া মৎস্য চাষী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. নূরন্নবী ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগীতায় গ্রামের বুড়িখোড়া নদীর পাঁচ একর ৮২ শতাংশ এলাকায় সমিতির উদ্যোগে গত মে মাসে বিভিন্ন প্রজাতির ৫০মন মাছের পোনা ছাড়া হয়। ওই স্থানে আমরা বানা (ঘের) দিতে গেলে কোন কারণ ছাড়াই আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমি সহ ১৩জন সদস্য আহত হয়ে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হই। আহতদের মধ্যে সমিতির সদস্য হুসেন আলী (৬০) ও আব্দুস সামাদকে (৫৫) রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে স্থানন্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এর আগে বিভিন্ন সময়ে ওয়াদুদ মাস্টারের নেতৃত্বে ওই স্থান থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায় শেওটগাড়ি গ্রামের লোকজন। বাধা দিতে গেলে গত ১৪ আগস্ট আমাদের সমিতির কার্যালয় ভাঙচুর করে তারা। ওই ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’
অপরদিকে আব্দুল ওয়াদুদ মাস্টার বলেন,‘নদী সবার জন্য উম্মুক্ত, মাছ ধরার অধিকার এলাকার লোজনের রয়েছে। সেখানে অবৈধভাবে সবুজপাড়া গ্রামের লোকজন নদী দখল করে বানা (ঘের) দিচ্ছিল। একারণে এলাকার লোকজন বাধা দিলে সবুজপাড়া গ্রামের লোকজন আমাদের  ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় শেওটগাড়ি গ্রামের ১৫জন আহত হয়ে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এরশাদুল আলম বলেন, নীলফামারী ও ডোমার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত  কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকছেদ আলী বলেন, থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6480929013018939389

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item