মিয়ানমারে মুসলিম গনহত্যা,ধর্ষন,গুলি ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ডোমারে মানববন্ধন

আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি//আনিছুর রহমান মানিক

“মানুষ খেকো রক্ত পিপাষু অং সাং সূচী এই মুহুর্তে মুসলিম হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে”এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমান নারী, পুরুষ ও শিশুদের গনহত্যা ও ধর্ষন,গুলি ও বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগের  প্রতিবাদে নীলফামারী জেলার ডোমারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে এগারোটা থেকে সচেতন ডোমারবাসীর উদ্যোগে শহরের রেলগেটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শত শত লোকজন অংশ নেন।প্রভাষক জাকির প্রধানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নীলফামারী জেলা  সভাপতি গোড়া চাদ অধিকারী,প্রভাষক মোস্তফা ফিরোজ প্রধান,প্রভাষক করিমুল ইসলাম,বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টি ডোমার উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মফিজার রহমান দুলাল,নারী নেত্রী তৌহিদা জ্যোতি প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দরা পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে মুসলিম শিশু নারীসহ গনহত্যা ও ধর্ষনের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান। অবিলম্বে বিশ্বের সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাখাইন রাজ্যে মুসিলম নিধন বন্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানান।রোহিঙ্গা সমস্যার প্রধান ভূক্তভোগী যেহেতু বাংলাদেশ সেহেতু বাংলাদেশ সরকারকে সমস্যাটি সমাধানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহবান জানান বক্তারা।সেই সাথে ওআইসি, জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতৃত্বকে সমস্যাটি সমাধানে ভূমিকা রাখার দাবী জানান।সভাপতি তার বক্তব্যে তিনি বলেন, দু:খজনক হলেও সত্য যে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মায়ানমার নেত্রী অং সান সূ চীর শাসনাধীন মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলছে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা, নারী নির্যাতন, শিশু হত্যা। গত ৯ অক্টোবর মায়ানমারের সীমান্ত পোস্টে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ৯ জন সীমান্ত রক্ষী হত্যা করার পর মায়ানমার সরকার সেনাবাহিনী দিয়ে নির্বিচারে চালাচ্ছে গণহত্যা। আর তা নিরবে পরিচালনা করছেন ও দেখছেন “শান্তিতে নোবেল” বিজয়ী অং সান সূ চি।